মাগুরায় প্রতিবেশির ছুরিকাঘাতে নিহত ১, আহত ৩
Published: 19th, May 2025 GMT
মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে হাসান শেখ (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। এরা হলেন শিপন শেখ (২৭), মিজান শেখ (৪০) ও পাঞ্জু শেখ (৪০)।
রবিবার (১৮ মে) দিবাগত রাতে রাজীব শেখ নামে একজন প্রতিবেশী ছুরি নিয়ে এই হামলা চালায়।
নিহতের স্বজনরা জানায়, রাজীব শেখ ৪ জনকে কুপিয়েছে। এদেরকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসান শেখের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহত তিনজনকে মাগুরা হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থা আরো অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত হাসান শেখের চাচাতো ভাই শাকিল হাসান বলেন, “গেল রাতে আমার চাচাতো ভাই রিপন শেখ আমাদের বাড়ির পাশে প্রতিবেশির বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে চোর সন্দেহে গাছের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মারপিট করে রাজীব শেখ। এর একপর্যায়ে রাজীব শেখ এর বাবা আল-আমিন শেখের কাছে হাত পা ধরে মাপ চেয়ে রিপনকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসার পথে রাজীব শেখ এদেরকে কুপিয়ে জখম করে। এতে হাসান শেখের মৃত্যু হয় ও তিনজন গুরুতর আহত হয়।”
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ওই গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন রিপন প্রতিবেশী রাজিবের বাড়িতে গেলে চোর ভেবে বেঁধে মারধর করে। রিপনের পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে রাজিবের পরিবারের সাথে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে রাজিব ছুরি নিয়ে হামলা করে। সেখান থেকে গুরুতর আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে রাত দেড়টার দিকে মারা যায় হাসান শেখ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে রাজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, “এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।”
ঢাকা/শাহীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়
সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়।
রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।
জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।
বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।