সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বাগধোনাইল ও কুলিয়ার চর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের সময় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

নজরুল ইসলাম বাগধোনাইল গ্রামের বাসিন্দা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই আজ সকালে উপজেলার কুলিয়ারচর ও বাগধোনাইল গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বাগধোনাইল গ্রামের নজরুল নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থল থেকে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেঙে পড়ল ডাকবাংলো সেতুর রেলিং

দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা। সেতুটির রেলিং শেষ পর্যন্ত ভেঙেই পড়ল।
সোমবার সন্ধ্যায় এক মোটরসাইকেল আরোহী সেতুটি পার হওয়ার সময় এর একাংশের রেলিং ভেঙে যায়। এ ঘটনা সেতুটির ঝুঁকির ব্যাপারে চূড়ান্ত বার্তা পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদরের নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ডাকবাংলোর পশ্চিম দিক থেকে মোটরসাইকেলে দুই যুবক সেতুর পূর্ব দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেতুতে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে মোটরসাইকেলটি বের করার সময় রেলিংয়ে সামান্য চাপ লাগতেই সেটি ভেঙে যায়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সুহেল আহমদ বলেন, সদরের খাদ্যগুদামের পুরোনো সেতুটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে নদীর দুই পারের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি। এমনতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সেতুর করুণদশা। সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ জোরাতালির এ সেতু দিয়ে উপজেলার পূর্বপার থেকে পশ্চিমপারে একমুখী যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও কেউ তা মানছে না। এমনই সেতুর অবস্থা নাজুক, তার ওপর যানজটের চাপে ঝুঁকি বেড়ে গেছে কয়েক গুণ বেশি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে নির্মাণকাজ শুরু হয় ডাকবাংলো সেতুর। শেষে ১৯৯৬ সালে এলজিইডি অধিদপ্তরের মাধ্যমে এর কাজ শেষ হয়। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ নদী খননকালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতু দেবে যাওয়ায় ১১ মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে এলজিইডি ও জগন্নাথপুর পৌরসভার উদ্যোগে সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করা হয়। 
১৯৮৭ সালে উপজেলার নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্যগুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। গত সরকারের আমলে পুরোনো সেতুটি ভেঙে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিশোরগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ গত বছরের এপ্রিল মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
এ সেতুর পাশে ওই সময় বিকল্প হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় একটি বেইলি সেতু তৈরি করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, ডাকবাংলোর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিক কয়েকটি বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ সেতু নতুন করে নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ