২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.

আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ সোমবার এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ১৫ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ২৬ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ লিভ টু আপিল দুটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। পরে তিনি বলেন, লিভ টু আপিল শোনা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি আজ আদালতে নেই। সে জন্য আগামীকাল শুনানির জন্য রেখেছেন আপিল বিভাগ।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির সক্ষমতা প্রমাণে আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সক্ষম কিনা, তা প্রমাণে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদ বিলোপে প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যার মাধ্যমে ন্যায্য সরকার গঠিত হবে।

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কীভাবে হবে– প্রশ্ন রেখে শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতে একানব্বইয়ের নির্বাচন হয়, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সমস্যা হলো, জিতলে বলে নির্বাচন সুষ্ঠু, হারলে বলি দুষ্ট। ন্যায়বিচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। যেখানে জনগণ ভোট দিতে পারবে। কেউ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করার দুঃসাহস দেখাবে না।

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বিএনপি। নির্বাচনের বিচার, সুষ্ঠু ভোটার তালিকা, জুলাই সনদ, ঘোষণাসহ পাঁচটি ন্যূনতম সংস্কারের শর্ত দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটি সময়সীমা দিয়েছেন, জামায়াতও মতামত দিয়েছে। আগামী রমজানের আগে নির্বাচন হতে পারে। কোনো কারণে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে এপ্রিলের মধ্যে হওয়া উচিত। 

গুমের শিকার এবং আওয়ামী লীগ আমলে বরখাস্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন। বরখাস্ত কর্নেল হাসিন প্রশ্ন করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার, জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়নে জামায়াতের অবস্থান কী? জবাবে জামায়াত আমির বলেন, শুধু সেনাবাহিনী কেন, আরও জায়গায় অনেক সংস্কার দরকার। বেশি জরুরি রাজনৈতিক দলের সংস্কার। 
তিনি বলেন, আশা করছি, দ্রুত নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাব। এখনকার নির্বাচন কমিশন যেন চেয়ারের সম্মান করে জামায়াতকে প্রতীক ফিরিয়ে দেয়। ব্যতিক্রম হলে জামায়াত চুপ থাকবে না। 
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুমসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ