এক দশকেরও বেশি সময় পর একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান আর অভিনয়ের জাদুকর জয়া আহসান। আর সেই প্রত্যাবর্তনের নাম ‘তাণ্ডব’।
ঈদুল আজহায় বড় পর্দায় ধুন্ধুমার উপস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘তাণ্ডব’ সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এর আগেই এক রহস্যময় ব্যস্ততা শুরু হয়েছে ওপার বাংলায়। সিনেমার ডাবিংয়ের কাজে হঠাৎ কলকাতায় উড়ে গিয়েছেন শাকিব ও জয়া।
বলা চলে, ডাবিং স্টুডিওর ভেতরেই চলছে এক সিনেমাটিক যুদ্ধ। কলকাতার অরাল স্টুডিওতে দিনভর ডাবিং করছেন তারকারা। সঙ্গে রয়েছেন পরিচালক রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, এসভিএফের দুই কর্ণধার— শ্রীকান্ত মোহতা ও মহেন্দ্র সোনি। অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিও দেখা দিয়েছেন সেই জমজমাট ডাবিং সেশনে। মহেন্দ্র সোনির শেয়ার করা একটি ছবিতেই ধরা পড়েছে তারকাদের মিলনমেলার মুহূর্ত।
আরো পড়ুন:
ওয়ান অ্যান্ড অনলি শাকিব খান: বুবলী
শাকিব খান ‘ফিফটি পারসেন্ট’ অপুর
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে— ডাবিং শেষে আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন শাকিব-জয়া। ফিরেই শুরু করবেন সিনেমাটির আইটেম গানের শুটিং, যেখানে আবারো চমক দেখাবেন শাকিব খান।
রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরপুর অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘তাণ্ডব’। এরই মধ্যে সিনেমাটির টিজার দুই বাংলার দর্শকের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে। মাত্র দেড় মিনিটের ঝলকে নির্মাতা রাফী ভরিয়ে দিয়েছেন অ্যাকশন, উত্তেজনা আর সাসপেন্স।
শাকিব-জয়ার পাশাপাশি সিনেমাটিতে আছেন আফজাল হোসেন, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর, এজাজুল ইসলাম, এফ এস নাঈম, রোজী সিদ্দিকী প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।