তথৈবচ অবস্থা শেয়ারবাজারে। দিনের শুরুতে অধিকাংশ শেয়ারের দর ও সূচকের বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও টানা চতুর্থ দিনে দর পতনে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় প্রায় আড়াইশ শেয়ারের দর বাড়ার বিপরীতে অর্ধশত শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়েছিল। তবে লেনদেন শেষে দেখা যায়, ১৪৫টির দর বাড়ার বিপরীতে ১৬৮টি দর হারিয়েছে। বিভিন্ন খাতের মধ্যে ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং বস্ত্র খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। অন্য সব খাতে ছিল মিশ্রধারা। তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সেবা ও নির্মাণ খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে।
সার্বিক নিম্নধারার মধ্যেও বিবিএস কেবলস ও নাহী অ্যালুমিনাম দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে (সাড়ে ৯ থেকে ১০ শতাংশ বেশিতে) কেনাবেচা হয়। একটি ব্যবসায়ী গ্রুপভুক্ত বিবিএস নামক কোম্পানির শেয়ারের ৬ শতাংশ দর বেড়েছে। অবশ্য ক্রমাগত দর পতনের পর এ দর বেড়েছে। দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা শেয়ারগুলোর মধ্যে দুর্বল মৌলভিত্তির ফারইস্ট ফাইন্যান্স এবং ফরচুন সুজও ছিল।
এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়া কিছু ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানির রেকর্ড ডেট শেষে দর সংশোধন অব্যাহত আছে। গতকাল ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ওয়ান ব্যাংক, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ৬ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
ক্রমাগত দর পতনের ধারায় লেনদেন ঘুরেফিরে তিনশ কোটি টাকার নিচেই অবস্থান করছে। গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে ২৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এ লেনদেন রোববারের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা বেশি। গতকালসহ সর্বশেষ ১১ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ দিনই এ বাজারে তিনশ কোটি টাকার কম মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হলো।
একক খাত হিসেবে ব্যাংক খাত পৌনে ৪৯ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে ছিল শীর্ষে, যা মোট লেনদেনের সোয়া ১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পৌনে ৩৫ কোটি টাকা বা সোয়া ১২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। একক কোম্পানি হিসেবে স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ২১ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর পতন ল নদ ন দর ব ড়
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজনি র্যাশ কী, হলে কী করবেন
ডিজনি র্যাশ বিষয়টি আমাদের অচেনা। এটি মূলত ত্বকের একধরনের সমস্যা। সাধারণত কেউ গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘসময় থাকলে এই র্যাশ দেখা যায়। বিদেশে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মতো থিম পার্কে গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকার পর অনেকের ত্বকে এ ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। আর সেখান থেকেই এসেছে ডিজনি র্যাশ।
ডিজনি র্যাশ দেখতে কেমনএ ধরনের র্যাশ পায়ের নিচের দিকের অংশে, যেমন গোড়ালি বা তার কাছাকাছি জায়গায় হয়। দেখতে ছোট ছোট লাল দাগ বা ফুসকুড়ির মতো। এই র্যাশ চুলকায়ও। অনেক সময় জ্বালাপোড়া, ফোলা ভাব বা ব্যথা থাকে। গরমে রক্তনালির প্রদাহ বা ভাস্কুলাইটিস হয়ে এ রকম হয়ে যায়।
কারা বেশি আক্রান্ত হয়তীব্র গরমে বেশিক্ষণ থাকলে, বিশেষ করে যাঁরা গরম আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নন, তাঁদের এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বয়স্কদের এই র্যাশ বেশি হয়। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ হাঁটেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের এটি হতে দেখা যায়। যেমন যাঁরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদেরও হতে পারে। যাঁরা আঁটসাঁট প্যান্ট বা মোজা পরেন, তাঁদেরও এটি বেশি হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনজ্বরের সঙ্গে র্যাশ মানেই কি ডেঙ্গু১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩চিকিৎসা ও প্রতিরোধপ্রথমত, গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকা যাবে না। এ রকম পরিবেশে গেলে ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত পা ধুতে হবে বা বরফ থাকলে শরীরে ঘষে নিতে হবে। পোশাক পরতে হবে হালকা ও আরামদায়ক। ভ্রমণের মাঝখানে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। গরম আবহাওয়ায় পানি খেতে হবে বেশি।
র্যাশ হয়ে গেলে আক্রান্ত জায়গা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। পা উঁচু করে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ রকম র্যাশ সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকার কথা নয়। থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। র্যাশ যদি ছড়িয়ে পড়ে, সেটিও ভালো লক্ষণ নয়। এ ছাড়া অনেক সময় র্যাশে ইনফেকশন বা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যদি জ্বর আসে, শরীর বেশ অসুস্থ হয়ে যায়, দুর্বল লাগে, তাহলে ইনফেকশন হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।