ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের ‘বিড়াল’ বলেন, পুরুষদের কি ‘কুকুর’ বলবেন, প্রশ্ন রাভিনার

নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্রে পা রাখেন বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন। নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পার করেছেন দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ার। উপহার দিয়েছেন ব্যবসাসফল সিনেমা। নব্বই দশকে শীর্ষ অভিনেত্রীদের ‘ক্যাটফাইট’-এর গুঞ্জন রয়েছে। ‘ইন দ্য রিং উইথ ফিল্মফেয়ার’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘ক্যাটফাইট’ গুঞ্জনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন রাভিনা।

রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, “যাই করি না কেন, আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি কখনো নিজেকে নিয়ে অনিরাপদ বোধ করিনি। সুতরাং আমার কখনো ঈর্ষা হয়নি। আজ পর্যন্ত পরিষ্কার বিবেক নিয়ে ঘুমাতে পারি।”

পেশাগত কূটচাল নিয়ে রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, “আমার কোনো সিনেমা থেকে কাউকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপনি যদি এমনটা শুনে থাকেন— তাহলে আমি আমার নাম পরিবর্তন করব। এরপর আমাকে ‘চম্পাকলি’ বলে ডাকবেন; তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”

আরো পড়ুন:

আমাকে স্পর্শ করার সাহস কীভাবে পেলেন, যৌন হেনস্তা নিয়ে অভিনেত্রী

প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি

সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্মরণ করে রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, “একসময় আমিও ওইসব গ্যাংয়ের অংশ ছিলাম। মনীষা, পূজাও এ গ্যাংয়ে ছিল। আমরা সবাই নায়িকা ছিলাম। আমরা পরস্পরের সঙ্গে খুব ভালোভাবে যুক্ত ছিলাম। এখন পর্যন্ত সেই বন্ধন রয়েছে।”

জুহি চাওলা, মাধুরী দীক্ষিত, শিল্পা শেঠি, কাজল, রানী মুখার্জি, নীলম, মনীষা কৈরালাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন রাভিনা। ‘ক্যাটফাইট’ নিয়ে রাভিনার স্পষ্ট বক্তব্য—“এ বিষয়ে আমি ভিন্নমত পোষণ করি। কখনো ক্যাটফাইট ছিল না।”

রাভিনা মনে করেন ক্যাটফাইটের বিষয়টি মিডিয়া প্রায়ই অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করতো। রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, “আলোচনা হতে পারে, ‘তুমি এটা কেন করেছো? এটা করার কী দরকার?’ এই ব্যবধান পূরণ করা যাক। এটাই ছিল। এটা কখনো ক্যাটফাইট ছিল না।”

সেই সময়ে পুরুষ অভিনেতাদের বিরোধ প্রায়ই শারীরিক পর্যায়ে চলে যেত। কিন্তু তাদেরটাকে ‘ডগফাইট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হতো না। এ তথ্য উল্লেখ করে রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, “সেই সময়ে আপনি সম্পাদকদের দয়ায় থাকতেন। তখন কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, ক্যামেরা ছিল না, এসব কিছুই ছিল না। আপনি যোগাযোগ করতে পারতেন না। পুরুষরা মারামারি করতে অভ্যস্ত ছিলেন। তাহলে আপনি তাদের কী বলবেন? আপনি যদি আমাদের ‘বিড়াল’ বলেন, তবে পুরুষদের কি ‘কুকুর’ বলবেন?”

১৯৯১ সালে হিন্দি ভাষার ‘পাথর কে ফুল’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন রাভিনা। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

নব্বই দশকে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র উপহার দেন রাভিনা। যার মধ্যে রয়েছে ‘দিলওয়ালে’ (১৯৯৪), ‘মোহরা’ (১৯৯৪), ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ (১৯৯৬), ‘জিদ্দি’ (১৯৯৭) প্রভৃতি। এখনো অভিনয়ে সরব ৫২ বছরের রাভিনা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ