চ্যানেল আইতে ঈদের আগের দিনের নাটক মানেই রেজানুর রহমানের নাটক। টানা ২৫ বছর চ্যানেল আইতে দুই ঈদের অনুষ্ঠানমালায় ঈদের আগের দিন রেজানুর রহমানের নাটক প্রচার হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রেজানুর রহমান এবারও চ্যানেল আইয়ের জন্য নির্মাণ করেছেন ঈদের নাটক ‘একটি পারিবারিক গল্পের খসড়া’।

বউ-শাশুড়ির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব একটি সুখী সংসারকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় তার করুণ পরিণতি দেখানো হবে নাটকটিতে। রেজানুর রহমান বলেন, সংসারে বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ নতুন ঘটনা নয়। তাই বলে বিষয়টিকে উপেক্ষা করাও উচিত নয়। তাদের দ্বন্দ্বের পরিণতি একটি সুখী সংসার কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় তা-ই ফুটে উঠেছে নাটকটিতে। আশা করছি নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। ’

‘একটি পারিবারিক গল্পের খসড়া’ নাটকে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, মোহাম্মদ বারী, হাফিজুর রহমান সুরুজ, মাহবুবা রেজানুর, রাজিব সালেহীন, মাহফুজা আফনান অপ্সরা, রুনি, দীপান্বিতা প্রমুখ। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইতে নাটকটি প্রচার হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জ ন র রহম ন র ন টক ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ