বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ অংশে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে যাওয়ায় সড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার জুড়ে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।

শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফের মুন্ডার ডেইল, বাহারছড়া ও শীলখালী এলাকায় সড়কের পাশের জিও ব্যাগ ধসে পড়ছে। ঢেউয়ের আঘাতে উপড়ে পড়া ঝাউ গাছ স্থানীয় কিছু ব্যক্তি কেটে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.

সলিম বলেন, “শুক্রবার দুপুর থেকে মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি অংশে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সড়কের পাশের জিও ব্যাগগুলো একের পর এক বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

দুর্বল হচ্ছে নিম্নচাপ, শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির আভাস

সাতক্ষীরায় বাঁধে ভাঙন, শতাধিক ঘের প্লাবিত

স্থানীয়দের অভিযোগ, মেরিন ড্রাইভের বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালীরা সৈকত থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন, যার ফলে সড়কের গোড়ার মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং জোয়ারের ধাক্কায় একের পর এক ভাঙন দেখা দিচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “মেরিন ড্রাইভের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এর আগে, গত বছর আগস্ট মাসে পূর্ণিমার জোয়ারে মেরিন ড্রাইভে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। পরে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) জিও টিউব ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা নেয়।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝড় সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল পাঁচজনের

দুই জেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে তিনজন এবং শেরপুরে দু’জনের প্রাণহানি হয়েছে। শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। নিজেস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর–

জানা গেছে, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ লামকাইন গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া ব্রহ্মপুত্র নদের চরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর দুটি গরুও বজ্রপাতে মারা গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম।

একই দিন নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল হক বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে খেলা করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা গেছে। 

নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেলুর রহমান জানান, দুপুরে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে খেলতে গিয়ে শিশু সাইদুল হক বজ্রপাতের শিকার হয়।

এ ছাড়া ফুলবাড়িয়ায় বজ্রপাতে শফিকুল ইসলাম নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, রাজমিস্ত্রি শফিকুল সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করে ফেরার পথে বাড়ির পাশে আমগাছের নিচে আশ্রয় নিলে বজ্রপাতের শিকার হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রোকনুজ্জামান।

একই দিনে শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পশ্চিম বড় পাগলা গ্রামে বজ্রপাতের শব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষক সমির উদ্দিন সমু নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

তাঁর পরিবার জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে দুপুরে মাঠে গরু আনতে যান সমির। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার কাঁকরকান্দি ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামে শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে হাজেরা খাতুন নামে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী। 

জানা গেছে, স্থানীয় হাজিমোড় এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তাঁর নাতনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে নাতনিকে আনতে মাদ্রাসায় যান তিনি। ফেরার পথে তাঁর ওপর বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন। তবে সঙ্গে থাকা নাতনির কিছু হয়নি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, পথেই মারা গেছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ