ঈদ উৎসব উপলক্ষে স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ ইনভার্টার টেকনোলজির ৩টি নতুন প্রিমিয়াম মডেলের রেফ্রিজারেটর এনেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল।

নতুন মডেলের এসব ফ্রিজে বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে একুয়া ফাউন্টেইন, এমএসও ইনভার্টার, আজিটি, আয়োনাইজার, টার্বো মোড, সুপার মোড ও হলিডে মোড ইত্যাদি।

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় মার্সেল করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

আরো পড়ুন:

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেলেন দুই ক্রেতা

মার্সেলের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেপ্তার

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, বিজনেস কো-অর্ডিনেটর (রেফ্রিজারেটর) শাহজালাল হোসেন লিমন, চিফ বিজনেস অফিসার (রেফ্রিজারেটর) তাহসিনুল হক, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান জানান, ঈদে গ্রাহকদের হাতে সেরা দামে সেরা মানের সর্বাধুনিক স্মার্ট ফিচার সম্বলিত নতুন প্রিমিয়াম মডেলের ফ্রিজ বাজারে এনেছে মার্সেল। নতুন মডেলের ফ্রিজগুলোতে ক্রেতারা পাবেন স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শবনম ফারিয়া বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্সেল ব্র্যান্ডের নতুন প্রিমিয়াম মডেলের রেফ্রিজারেটর উন্মোচন করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। মার্সেল দেশেই আন্তর্জাতিকমানের পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ তৈরি করছে। জয় করে নিয়েছে দেশীয় ক্রেতাদের আস্থা। মার্সেলের এই অগ্রযাত্রায় আমাকে যুক্ত করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রাহকেরা মার্সেলের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ নতুন মডেলের ফ্রিজগুলো তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারবেন। মার্সেলের নতুন প্রিমিয়াম মডেলগুলোর মধ্যে এমএনআই-এফ১এন-জেডএনআই-ডব্লিউডি মডেলর ফ্রিজের দাম পড়ছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৯০ টাকা।

এছাড়া এমএনআই-এফ১এন-জেডএনআই-ডিডি মডেলের ফ্রিজের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৯০ টাকা। অন্যদিকে এমএনআই-ইজিসি-জিডিএনই-ডিডি মডেলের ফ্রিজ কেনা যাচ্ছে ৯৮ হাজার ৯৯০ টাকায়।

মার্সেলের ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।

ঢাকা/পলাশ/সাহেল/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সম্মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান অব বাংলাদেশ’–সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পদস্থ কর্মকর্তারা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই আমাদের কাজটা করতে হবে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না, পানিকে শান্ত রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ।’

বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেন।

এই পরিকল্পনায় কীভাবে সারা দেশের সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থার সমন্বয়, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর সংস্কার ও সংযোজনের মাধ্যমে পুরো যোগাযোগব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা যায় তা দেখানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে থাকা রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথের যথাযথ ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানো গেলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।

যোগাযোগ খাতের সব কটি ব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে প্রাথমিকভাবে একটি শক্তিশালী ধারণা পাওয়া গেল। এখন এটিকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুরো পরিকল্পনাটা করতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে মাথায় রেখে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে—নদীগুলো আমাদের প্রাণ।’ পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় কানেক্টিভিটির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে একই বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয়, সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ