এসএসসি পরীক্ষা শেষ। ব্যবহারিক পরীক্ষাও ভালোভাবে শেষ হয়েছে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পরীক্ষাটি আশা করি তুমি শেষ করলে। এখন প্রায় তিন মাস অবসর। তোমাদের কোনো পড়াশোনা নেই, কোনো প্রস্তুতিও নেই। এই অখণ্ড অবসরে তুমি কী বসে থাকবে? নাকি কিছু একটা করবে। অবশ্যই তোমাকে একটা কিছু করতে হবে। তোমার মনে যা ইচ্ছা হয় করতে, তা–ই করো, যা তোমার মনে ভালো লাগে।

১.

বই পড়ে জানতে হবে

‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’ কথাটি বলেছেন কথাসাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী। আর বই পড়ে কেউ ক্ষতির মুখোমুখি হয় না। যে বই পড়ে সে সঠিক জানতে পারে। বই পড়া বিষয়টি একেকজনের একেক রকম হতে পারে। কেউ বিচিত্র ধরনের বই পড়েন, তাঁরা নিজেদের মনোজগৎ আলোকিত করেছেন। একটা গল্পের বই পড়ে একরকম মজা, প্রবন্ধের বই পড়ে অন্য রকম মজা। প্রবন্ধের বই পড়ে তো প্রতিটি বাক্যের মধ্যেই যেন জানার খোরাক থাকে। একেক ধরনের বই একেকভাবে মনকে আলোড়িত করে, আলোকিতও করে। কলেজের একাদশ শ্রেণির পড়ার চাপ শুরু হওয়ার আগেই পড়ে নাও চিরায়ত বইগুলো।

২. অন্য ভাষাও শিখি

বিশ্বের শীর্ষ ভাষাবিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ ভাষা রয়েছে। ২০২২ সালে সোয়াপ ল্যাঙ্গুয়েজের এক প্রতিবেদনে লিখেছিল, পৃথিবীতে সরকারিভাবে পরিচিত ভাষা ৭ হাজার ১৩৯টি। সব ভাষা কি জানা সম্ভব? কিছুতেই না। মনে রেখো, মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশি  অন্তত দু-একটি ভাষা আমাদের জানা জরুরি। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা জানা খুবই প্রয়োজন। ইংরেজি না জানলে পদে পদে বাধায় মুখে পড়তে হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য ইংরেজি কত প্রয়োজন, আমরা সবাই জানি। এখন অনেকে জার্মান ভাষা, চীনা ভাষা, জাপানিজ ভাষা শিখছে।

৩. কম্পিউটারের দুনিয়া

বর্তমানে কম্পিউটার আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে। কোভিডকাল থেকে কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এখন অনলাইনে ক্লাস, বাসায় পড়াশোনা বহু কিছু এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। কম্পিউটারের মৌলিক বিষয়গুলো না জানলে তোমাদের পিছিয়ে থাকতেই হবে। কম্পিউটারের এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্টসহ কিছু বিষয় আয়ত্ত করা খুবই দরকার।

আরও পড়ুনক্যাডেট কলেজে আপনার সন্তানকে ভর্তি করতে চান?০৭ মে ২০২৫

৪. তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার

এখন সবকিছুতেই ব্যবহার হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তি। এটা তোমাকে জানতেই হবে। তোমার সহপাঠীর চেয়ে এগিয়ে থাকতে হলে দরকার তথ্য ও প্রযুক্তি জানা। এআই, ডিপসিক থেকে শুরু করে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি রয়েছে, তার কোর্স তুমি করতে পারো। সম্ভব হলে হার্ডওয়্যারসহ অ্যাডভান্স কত কিছু আছে শেখার! ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিংও তো কেউ কেউ শিখে নেয়। ভবিষ্যৎ জীবনে কিন্তু এগুলোও কাজে লাগতে পারে।

৫. জানার আছে অনেক কিছু

বর্তমানে বাংলাদেশে মোট প্রায় ১০৩টি জাদুঘর রয়েছে। এই জায়গা পুরোপুরি জানার।  অনেক শিক্ষার্থীর মন চায় নতুন কিছু জানতে, নিজ চোখে দেখে শিখতে। তারা তাদের জানার ইচ্ছা মেটাতে পারে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর, নারায়ণগঞ্জের লোকশিল্প জাদুঘর, ঠাকুরগাঁওয়ের লোকজন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর, নেত্রকোনায় বাংলাদেশের প্রথম ভূমি জাদুঘর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পানি জাদুঘর, রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, উত্তরা গণভবন, পঞ্চগড়ে পাথর জাদুঘর, শ্রীমঙ্গল চা জাদুঘর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভাসু মৎস্য জাদুঘর, আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ অনেক অনেক কিছু।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা১৭ মে ২০২৫

৬. ঘুরে আসি দূরে কোথাও

‘থাকব না কো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে’—জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কথাটি পাঠ্যবইয়ের পাতায় পড়েছ! বাইরের জগৎটা কেমন, তা জানার আগ্রহ থাকে অনেকের। এই সুযোগে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘুরে দেখতে পারো। দেশের ভেতরে কত সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে, দেখলে চমকে যাবে। মন আনন্দে ভরে উঠবে। কক্সবাজার, সুন্দরবন, সিলেট, রাঙামাটি, সাজেক ভ্যালি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুয়াকাটা আরও কত জায়গা আছে দেখার! এসব জায়গায় গেলে বাড়বে জানার পরিধিও।

আরও পড়ুনএসএসসি–এইচএসসির বোর্ডসেরাদের ১০ ও ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, যেভাবে আবেদন ১৯ মে ২০২৫

৭. হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা

হাত বাড়ানো যায় দুভাবে। কিছু চাওয়ার জন্য এবং কিছু দেওয়ার জন্য। আবার হাত দিয়ে কাউকে টেনে তুলতে পারি। নিশ্চয়ই ভালো-মন্দ বুঝে আমরা হাতকে কাজে লাগাব। তা–ই না? এবার বলি আসল কথা। আশপাশের অন্তত একজন নিরক্ষরকে যদি অক্ষর শেখাতে পারি।

৮. বাগান করি সময় কাটাই

অনেকে শখ করে বাসার আঙিনায় বাগান করে থাকে। সেখান থেকে অনেক ফলমূল, শাকসবজি, ফুল ইত্যাদির ফলন দেখা যায়। এ রকম কাজের মধ্যে অনেক আনন্দ জোটে। খাবার প্রয়োজনও মিটে যায়। নিজের ফলানো ফসল খাওয়ার মজা অন্য রকম, তা নিশ্চয়ই বানান করে বুঝিয়ে দিতে হবে না। তাহলে বাগান করি, নিজের শখ পূরণ করি।

লেখক: রমজান মাহমুদ, সিনিয়র শিক্ষক,গবর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুল, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র জ দ ঘর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়

ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়েছিল সংবিধানে, তা–ই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে আপিল বিভাগে এ–সংক্রান্ত শুনানিতে বলেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল–পরবর্তী নির্বাচনগুলোর চিত্র দেখিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে—দেশের জনগণ এমন বিতর্কিত কোনো নির্বাচন হোক, তা চায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ রোববার ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিএনপি মহাসচিবের আপিল–সংক্রান্ত শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিন রাখা হয়েছে। এদিন বিরতির পর শুনানি শুরুর আগে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে আসেন বাংলাদেশে সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে এই শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেই একটি আলোচিত বিষয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে যুক্ত করেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার দুই বছর পর সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে এই ব্যবস্থা বাতিল করে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

ওই রায়ের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন ও আপিল বিভাগের রুলসের ব্যত্যয় ঘটেছে দাবি করে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ে সইয়ের আগেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার, সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) করে। পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা ও স্বাক্ষরের (বিচারপতিদের রায়ে সই করা) আগে সরকার সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের বলে তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে, যা দেশবাসীর জানা। দেশের বিবেকবান মানুষ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে এই সংবিধান সংশোধনকে সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছিল। এটি জনগণের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র।’

বিএনপির একসময়ের আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন শুনানিতে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করেছেন। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার লক্ষ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি (বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক) দেশের প্রচলিত আইন ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলস যথাযথভাবে অনুসরণ না করে সর্বশেষ (পূর্ণাঙ্গ রায়) রায় দেন, যা প্রথমে দেওয়া রায়ের (শর্ট অর্ডার সংক্ষিপ্ত রায়) সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।’

শুনানিতে অবসরের পর রায়ে সই প্রসঙ্গ

অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করলে তার আইনগত মূল্য কী হবে—এ প্রসঙ্গ ওঠে শুনানিতে। বিরতির পর শুনানিতে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের অপর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, রায় ঘোষণা ও রায়ে সই করা দুটি ভিন্ন বিষয়। রায় ঘোষণার সময় এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে যা ছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

দেওয়ানি কার্যবিধি, আপিল বিভাগের রুলস ও সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘শর্ট অর্ডারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যে পার্থক্য, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিও বলেননি অবসরের পরে বিচারপতি খায়রুল হকের লেখা রায়টি অবৈধ হয়েছে। স্বাক্ষর পরে করেছেন বলে রায় অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করতে পারবেন না কিংবা কত দিনের মধ্যে সই না করলে সেটি অবৈধ হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই।’

রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘প্রকাশ্য আদালতে কোনো বিচারপতি যখন কোনো রায় দেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দিলে ছোটখাটো দাড়ি, কমা, শব্দ বাদ পড়েছে—এগুলো ছাড়া যেকোনো পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই সেটি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) ছাড়া হবে না, যার ওপর শুনানি চলছে।’

এ মামলায় সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়। ওই প্রসঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন, ‘অবসরের পর রায়ে সই করলে তা বাতিল বা অকার্যকর হবে না। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করলেন, সেই তারিখ হচ্ছে মূল। এটি হচ্ছে রায়ের তারিখ। কবে সই করলেন, এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আপিল বিভাগের রুলসে বলা আছে, এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) বিধান কার্যকর হবে না। আপিল বিভাগের জন্য সিপিসি প্রযোজ্য নয়।’

মামলার পূর্বাপর

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপিল বিভাগের ২০১১ সালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়।

রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিএনপির মহাসচিবের করা রিভিউ আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিলের সঙ্গে অপর রিভিউ আবেদনগুলো শুনানির জন্য যুক্ত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। এ অনুসারে পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের করা রিভিউসহ অপর রিভিউ আবেদন এবং বিএনপির মহাসচিবের আপিল শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।

পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের ওপর ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। এরপর ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত সংগঠনের পক্ষে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। এরপর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল এবং এ এস এম শাহরিয়ার কবির শুনানি করেন। শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্য উপস্থাপনের পর হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (রিভিউ আবেদনকারী) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক শুনানি করেন। এরপর বিএনপির মহাসচিবের পক্ষে জয়নুল আবেদীন শুনানি শুরু করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পর গত আগস্টে বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার হন। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়
  • বিশ্ব শিক্ষক দিবস: রাবিতে ৩ অধ্যাপককে সম্মাননা
  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • টি-টোয়েন্টি থেকে উইলিয়ামসনের অবসরের ঘোষণা
  • ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন মুজিবুর রহমান