ঈদের পর থেকে ১০ দিন ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ
Published: 3rd, June 2025 GMT
সারাদেশ থেকে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহনে ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সরকার ঈদের দিনসহ পরবর্তী ১০ দিন অন্য জেলা হতে ঢাকায় কাঁচা চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে।
এর আগে গত ২৫ মে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছিলেন, কোরবানির ঈদের সময় চামড়ার বাজারে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে ১০ দিন ঢাকায় চামড়া প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের সুবিধার্থে সারাদেশে বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করার কথাও বলেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ঢাকায় চামড়া প্রবেশ বন্ধের ফলে গ্রামাঞ্চলের চামড়া সংরক্ষণকারীরা লবণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারবে। যারা কোরবানির পশু জবাই করেন তারা চামড়া মাদরাসা বা এতিমখানায় দিয়ে দিতে পারবেন, যা সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আসা ১৪ রোহিঙ্গা বিজিবির হেফাজতে
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে মিয়ানমার থেকে ২২ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ বাসস্টেশন–সংলগ্ন আবু ছিদ্দিক মার্কেট এলাকা থেকে আটকের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং এলাকার লম্বাবিল গ্রামের মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন নারী, ২ জন পুরুষ ও ১০ জন শিশু।
পরিবারের গৃহবধূ আমিনা খাতুন বলেন, ‘১৩ দিন আগে পাহাড়ে অবস্থানকালে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। পরে দালালের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে নৌকায় করে টেকনাফে আসি।’
মোহাম্মদ আমিন ও মোস্তফা কামাল জানান, তাঁরা নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি এলাকা হয়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফ সদরের মহেশখালীয়াপাড়া উপকূলে ওঠেন। তাঁদের নৌকায় ২২ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে অন্য ৮ জন একই এলাকার শফিউল্লাহ পরিবারের সদস্য। তাঁরা নৌকা থেকে নামার পরই অন্যত্র চলে যান।
বাকি ১৪ জন অটোরিকশায় করে টেকনাফ বাসস্টেশন এলাকায় এসে আশ্রয় নেন একটি মার্কেটের সামনে। সেখানে অবস্থানকালে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাঁদের আটক করেন।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবিকে জানানো হয়। পরে বিজিবি ওই ১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৪ রোহিঙ্গাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’