আওয়ামী লীগের ‘ঘাঁটি’ কিশোরগঞ্জে সব নেতা আত্মগোপনে, চাঙা বিএনপি–জামায়াত
Published: 4th, June 2025 GMT
কিশোরগঞ্জকে বলা হতো আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর সেখানে এখন দলের কোনো কার্যালয়ই নেই। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নেতারা সবাই আত্মগোপনে। এই দলের মিত্র জাতীয় পার্টির অবস্থাও নাজুক। তবে একেবারে বিপরীত চিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর। এই দুই দলের কার্যালয় সরগরম, বেড়েছে নেতা–কর্মীদের আনাগোনা। রাজনীতির ময়দানে নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো কমিটি এখানে হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি, দলের সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে ছিলেন কিশোরগঞ্জের নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতারা এখন আত্মগোপনে। জেলা শহরের দলীয় কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে থাকা কার্যালয়গুলোর অবস্থাও নাজুক। কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য কারাগারে। বাকি তিনজন আত্মগোপনে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু) কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। জেলার বাসিন্দা সাবেক রাষ্ট্রপতি মো.
গত বছরের এই সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ছিল নীরবতা। নেতা–কর্মীরা ভয়ে সেখানে বসতে পারতেন না। একই অবস্থা ছিল জেলা জামায়াত কার্যালয়ের। এখন এই দল দুটির কার্যালয় জমজমাট। নেতা-কর্মীদের পদচারণে মুখর থাকে দলীয় কার্যালয় দুটি। নেতা-কর্মীরাও ফুরফরে মেজাজে আছেন। বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী নানা ঝামেলা এড়াতে দলের কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতেন, তাঁরা এখন কোনো কর্মসূচি হলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। বিএনপি আগের কার্যালয় ছেড়ে নতুন করে বড়সড় কার্যালয় নিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সরব। দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় আর জামায়াত নেতা এ টি এম আজহার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জে এনসিপির কোনো কমিটি এখনো হয়নি। যাঁরা জাতীয় নাগরিক কমিটিতে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে এনসিপির ব্যানারে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও গণসংযোগ এবং নানা সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া গণ অধিকার পরিষদ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কমিটি করার পাশাপাশি গণসংযোগ, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য ইলামিক দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। বাম দলের কর্মসূচি অনেকটা কার্যালয়কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনীতির দৃশ্যপট পুরোটাই পাল্টে গেছে। এখন জেলার রাজনীতির মাঠে বিএনপি আর জামায়াত বেশ সক্রিয়। দল দুটি সংগঠনকে গোছানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠ গোছাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে এখন বেশ সক্রিয়। সুযোগ পেলেই জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।
কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপি এখনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনে ছয়জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তাঁরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ছয়টি সংসদীয় আসন আছে। এগুলো হলো কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর), কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া), কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল), কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম), কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) ও কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর)।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনটি ১৯৯১ সালে বিএনপির দখলে ছিল। এরপর ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি মারা গেলে এখানে সংসদ সদস্য হন তাঁর ছোট বোন চিকিৎসক জাকিয়া নূর (লিপি)।
এ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল করিম খান (চুন্নু), জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা খোকন ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. আতিকুর রহমান। এই আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে মোসাদ্দেক ভূঁইয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে জেলা বিএনপির তিন সহসভাপতি জালাল উদ্দীন, আশফাক আহমেদ ও রুহুল আমিন আকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাকনের। এ ছাড়া এখানে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ করছেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বেকায়দায় আছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এম ওসমান ফারুক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা ও জালাল মোহাম্মদ গাউস, যুববিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আহসানের। এখানে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চিকিৎসক কর্নেল (অব.) অধ্যাপক জেহাদ খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রবাসী এ কে এম আলমগীর এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে টানা বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে পরপর চারবার সংসদ সদস্য হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। ৫ আগস্টের পর থেকে রেজওয়ান আত্মগোপনে আছেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরঞ্জন ঘোষ, ড্যাব নেতা অধ্যাপক ফেরদৌস আহমেদ লাকী, অবসরপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে। জামায়াতের প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আইনজীবী শেখ মো. রোকন রেজার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল মোমেন, বাজিতপুরের সাবেক পৌর মেয়র এহসান কুফিয়া, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হাজি মাশুক মিয়া ও বিএনপি নেতা মীর জলিলের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। আসনটি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা। বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেন তাঁকে সহযোগিতা করেন, সে জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে একটি চিঠিও ইস্যু করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমের বাড়ি এখানে। তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। জেলা জামায়াতের আমির মো. রমজান আলীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। তিনি কয়েকবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর ছেলে বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য হন। তিনি আত্মগোপনে আছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের। জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা কবির হোসাইন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নির্বিঘ্ন ও বাধাহীন পরিবেশে দলীয় কর্মসূচি, সভা-সমাবেশসহ নানা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছে। প্রতিটা আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন সক্রিয়। তিনি আশা করছেন, আগামী নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
জেলা জামায়াতের আমির মো. রমজান আলী বলেন, ইতিমধ্যে ছয়টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা এলাকায় গণসংযোগ করছেন, প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁর আশা, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জেলার ছয়টি আসনেই জামায়াতের প্রার্থীরা ভালো করবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ জ ল ব এনপ র স ব র ষ ট রপত র রহম ন ল ইসল ম কর ম র দল র ক অবস থ আওয় ম এ আসন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের আলোকেই হবে জুলাই সনদ: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছে, সে আলোকে পরিবর্তিত প্রস্তাব নিয়েই জাতীয় সনদ (জুলাই সনদ) করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার ছিল দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার উদ্বোধনী। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী মাসে জুলাই সনদ তৈরির লক্ষ্য রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের।
আজকের বৈঠকে সংবিধানের সত্তর অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধির একটি অংশ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংস্কার কার্যক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক যুক্তি সামনাসামনি আলোচনা হলে অনেক ক্ষেত্রে অবস্থানগত পরিবর্তন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কী কাজ করছে, তা জানতে জনমনে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছি, যাতে মানুষ আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বুঝতে পারে।’
যেসব প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো জুলাই সনদে যুক্ত হবে না বলে উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সব বিষয়ে আমরা একমত হব না। কিছু জায়গায় একমত হব। বাকিটা রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবে। জনগণ কতটা গ্রহণ করবে, সেটা তাদের বিষয়।’
আগামী মাসের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন করার আশা প্রকাশ করেন আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে রাখতে হবে, সংস্কার সুপারিশে আমরা যেন ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি।’
আজকের আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ত্রিশটি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে রয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), গণ-অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, আমজনতার দল, ভাসানী অনুসারী পরিষদ/ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিশনের সদস্য মো. আয়ুব মিয়া, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, এমদাদুল হক ও ইফতেখারুজ্জামান।