জিয়াউর রহমান মানুষের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন : সজল
Published: 4th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।
যতদিন বাংলাদেশ রয়েছে ততদিন জিয়াউর রহমান নাম অম্লান থাকবে। জিয়াউর রহমানের এই সাফল্য দেখে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৮১ সালে ৩০মে তাকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ নৃশংসভাবে হত্যা করে।
জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে কিন্তু এই দলকে শেষ করতে পারেনি। উনার মৃত্যুর পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ব বৃহত্তর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের নেতাকে হত্যার মাধ্যমে জাতীয়তাবদী দলকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বুধবার ( ৪ মে ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ এনায়েতনগরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য আবুল বাশার বাদশার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন রণাঙ্গনের যোদ্ধা। তিনি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। আর আরেক নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে ডাক দিয়ে পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি চাইলে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা না করে কি ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছিল ঠিক তখনই আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান ও সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের গৃহবন্দী থেকে মুক্ত করে দেশের দায়িত্ব ভার দেন।
আমাদের নেতা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে একটি সবুজ শ্যামলা সমৃদ্ধিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলেন। আমাদের নেতা বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি করে দিয়েছিল। তিনি খাল খনন করেছিলেন এবং কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।
সবাই আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করবেন। দোয়া করবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের জন্য।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, প্রধান বক্তা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল বাশার বাদশা ও যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলামের পৃথক পৃথক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরমান হোসেন, আশিকুর রহমান অনি, ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মুছা, যুবদল নেতা মামুন প্রধান, কাজী নুর আলম প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন আম দ র ন ত স ব ধ নত র সদস য র রহম ন অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
তেল চোর দেলোয়ারকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন : টিপু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত খুন, গুম ও নির্যাতন এটা ছিল ওই শেখ হাসিনার নিত্যদিনের খোরাক। বাংলাদেশের মানুষকে বন্দুকের নল দেখিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল।
আয়না ঘর বানিয়ে মানুষকে গুম করে তার ক্ষমতার মাস্কটে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। যেমনি ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল খুনি শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ এর আগে গণতন্ত্রকে হত্যা করে চেয়েছিল একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেদিন রুখে দিয়েছিল।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলতাফ কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে সে সকল সম্পদ সকল টাকা-পয়সা ওই আওয়ামী লীগের সকল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাদের মন্ত্রী-এমপি তাদের নেতাকর্মীরাসহ তারা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। এখন বিদেশে বসে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
কিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে অশান্তিতে রাখবে, কিভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়। কিন্তু আমরা বিএনপি নেতা কর্মীরা বলে দিতে চাই ওই শেখ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ যারা এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে কখনোই আর বাংলাদেশের মাটিতে জায়গা দেওয়া অবদান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গডফাদার ছিল খুনি শেখ হাসিনা, তেমনি ভাবে আমাদের নারায়ণগঞ্জেও গডফাদার ছিল ওসমান পরিবার শামীম ওসমান সহ তাদের পুরো পরিবার, তেমনি ভাবে কলাগাছিয়াও কিন্তু একজন চোর ছিল। তার কি নাম ছিল তেল চোর দেলোয়ার। ওই কিন্তু একজন বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যার মামলার আসামি।
ওকি এখনো এলাকায় আছে যদি থাকে তা হলে আপনারা ধরে ওকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে দিবেন। কোন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যা মামলার আসামি দোসরদের সহযোগী তারা। এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যাতে চলাফেরা থাকতে না পারে সেজন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব রুখে দিবেন।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নুরউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ূন কবির, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন শিশির, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. মতিউর রহমান মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, সহ- সভাপতি দিদার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খন্দকার, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।