তালা খোলেনি নগর ভবনের, অন্যত্র চলছে জরুরি কাজকর্ম
Published: 4th, June 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা ২১ দিন আন্দোলনের পর ঈদ উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তালাবদ্ধই রাখা হয়েছে নগর ভবন। এ কারণে সেবা নিতে এসেও ফিরে গেছেন অনেকে।
ভবন তালাবদ্ধ থাকায় সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। পাশের সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল আর ওয়াসা ভবনে বসে জরুরি কাজ সারছেন তারা।
নগরভবনে গিয়ে দেখা যায়, সেবাপ্রার্থীর পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে যাচ্ছেন। তাঁতীবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রসুল সমকালকে বলেন, ছেলের জন্মসনদের জন্য ১৫ দিন ধরে এসেও ফেরত চলে যেতে হচ্ছে। ভেবেছিলাম আন্দোলনে যেহেতু বিরতি দেওয়া হয়েছে, তাই হয়তো অফিস খুলেছে। তবে এসে দেখি ভবনের তালা খুলেনি।
আজ দুপুরে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান ও তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন নগর ভবনে এসে ফেরত যাচ্ছিলেন। তারা সমকালকে বলেন, প্রতিদিন অফিসে এসেও ফেরত চলে যেতে হয়। কারণ ভবন তালাবদ্ধ। জরুরি কিছু কাজের জন্য ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী সরকারী কর্মচারী হাসপাতালের একটি কক্ষে বসেছেন, সেখানেই তারা যাচ্ছেন। বর্তমান প্রশাসক ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন। সেখানেও ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে প্রবেশ করছিলেন তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাহী এখানে বসেছেন। তাই এখানেই ফাইলপত্র নিয়ে এসেছি।
গত মঙ্গলবার ইশরাক হোসেন নগর ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদ, জনগণের ভোগান্তি ও যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে আমরা নগর ভবনে অবরোধ এবং ঘেরাওয়ের কর্মসূচি কিছুটা শিথিল, কিছুটা বিরতি দিয়েছি। তবে এই সরকারকে এখন বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, অবিলম্বে মেয়র পদে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করলে ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসবো।’
ইশরাকের শপথ আয়োজনের দাবিতে নগর ভবনের মূল ফটকে গত ১৫ মে তালা ঝুলিয়ে দেন তার সমর্থকরা। তারপর থেকে কার্যত বন্ধ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এসস স ইশর ক হ স ন নগর ভবন কর মকর ত নগর ভবন ড এসস স সরক র ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত