ভোগান্তির বিষয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি
Published: 5th, June 2025 GMT
কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও রেলওয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খান।
তিনি বলেন, “কারণ ভোগান্তির বিষয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সড়কে পরিবহন সংকট, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
উপদেষ্টা বলেন, “অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করছে সরকার। ঈদে সবাই যেন ঠিকভাবে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেন, আমরা এ বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। ট্রেনে বিনা টিকিটি ভ্রমণের বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়েছে। কমলাপুর রেল স্টেশনে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
ট্রেনে ছাদে ভ্রমণের বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খান বলেন, “এ বিষয়ে আমরা নিরুৎসাহিত করেছি। তারপরও ঈদের কারণে হয়তো অনেকে যেকোনোভাবে বাড়ি যেতে চায়। তাই অনেক সময় মানবিক কারণে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। তারপরও বিষয়টি দেখতে তিনি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।”
“সড়ক পথে বেশি ভাড়া আদায় করা হয় কিনা সে জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে,” বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সায়েদাবাদে তার উপস্থিতিতে লাল সবুজ পরিবহনের একটি বাসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে, কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় যাত্রীদের টিকিট চেকিং ও তাদের সুবিধা-অসুবিধার খবর নেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন র ল স ট শন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী