আক্ষেপ ছিল তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে মিউনিখ আসতে না পারায়। নেশন্স লিগের ফাইনালের মঞ্চ লামিনে ইয়ামালের সেই অপুর্ণতা পুরন করছে। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মিউনিখের অ্যালেয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে স্পেন – পতুর্গাল। যেখানে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর লামিনে ইয়ামাল। চল্লিশের সঙ্গে সতেরোর লড়াই। 

প্রজন্মের এই লড়াইয়ে দুজনেরই কিছু প্রমান করার আছে। লা লিগায় যেখানে প্রায় একটি দশক রাজার মতো দাপটে কাটিয়েছিলেন রোনালদো, সেখানে এখন নতুন তারকা বার্সার ইয়ামালের রাজত্ব। বর্তমান প্রজন্মের তারকা এমবাপ্পে, ডেম্বেলেদের মাত্রই হারিয়েছেন ইয়ামাল। স্টুর্টগার্টে ৯ গোলের ম্যাচে নিজেই করেছেন জোড়া গোল। যে ডেম্বেলের সঙ্গে তার ব্যালন ডি অ’র এর দৌড় চলছিল, তাকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন। এখন তার সামনে চ্যালেঞ্জ রোনালদোর মতো কিংবদন্তির মুখোমুখি হওয়া।

রোনালদো যখন লা লিগা ছেড়ে যান তখন ইয়ামাল মাত্র দশ। তিনিও অন্যদের মতো লা লিগায় মেসি– রোনালদোর দ্বৈরথ দেখেই বেড়ে উঠেছেন। আগামী বছর ফিনালিমিসিয়ায় কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা আর ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হওয়ার কথা। সেখানে মেসির মুখোমুখি হবেন ইয়ামাল, তার আগে রোনালদোর বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগটি তিনি পেয়েগেছেন নেশন্স লিগের এই ফাইনালে। 

যদিও নিজেকে প্রমান করার জন্য কথায় নয় কাজে বিশ্বাসি স্প্যানিশ এই কিশোর তারকা। তারপরেও ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে নামার আগে তাকে ডেম্বেলের সঙ্গে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে তুলনা টানা হয়। যা নিয়ে ম্যাচের পর স্পেনের কোচ ফুয়েন্তেও উত্তর দেন। ‘ লামিনে ইয়ামাল আজরাতে যা বলার তা মাঠের পারফেন্সের মাধ্যমেই বলে দিয়েছেন, দেখিয়ে দিয়েছেন ব্যালন ডি অ’র তারই জেতা উচিত। এই মুহুর্তে সে বিশ্বের সেরা ফুটবলার। আমার মনে তারই ব্যালন ডি অ’র জেতা উচিত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ