নেতানিয়াহু সরকারের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের
Published: 11th, June 2025 GMT
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একটি দল জানিয়েছে, ইসরায়েলি সরকার ‘স্পষ্টতই অবৈধ’ আদেশ জারি করছে যা মানা উচিত নয়। তারা আর গাজায় যুদ্ধ অভিযানে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং সামরিক প্রধানকে লেখা এক চিঠিতে ৪১ জন কর্মকর্তা ও রিজার্ভ সদস্যের এই দলটি বলেছে, সরকার গাজায় একটি ‘অপ্রয়োজনীয়, চিরন্তন যুদ্ধ’ চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে অনলাইনে শেয়ার করা এই চিঠিতে বলা হয়েছে, এই দলটি ‘নেতানিয়াহুর শাসন রক্ষার জন্য পরিকল্পিত যুদ্ধে’ অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানাবে এবং ‘(তার) সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী এবং মেসিয়ানিক পক্ষদের’ সন্তুষ্ট করবে।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে তারা ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত। তারা গাজা উপত্যকায় ২০ মাসের আক্রমণে, বিশেষ করে বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্বাচনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
এই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করে দলটি লিখেছে, “যখন কোনো সরকার গোপন উদ্দেশ্যে কাজ করে, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করে এবং নিরীহ মানুষকে হত্যার দিকে পরিচালিত করে, তখন তাদের জারি করা আদেশ স্পষ্টতই অবৈধ এবং আমাদের অবশ্যই তাদের মান্য করা উচিত নয়।”
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, নেতানিয়াহুর সরকার মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় গাজায় হামাস জঙ্গিদের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ দিয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ইসর য় ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী