সিলেট সীমান্তে আরও ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
Published: 12th, June 2025 GMT
সিলেটের জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় তাঁদের আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বিজিবির সদস্যরা জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করেন।
এর আগে সর্বশেষ ২৯ মে সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপির সদস্যরা মোকামপুঞ্জি সীমান্তে ১৭ জন এবং মিনাটিলা বিওপির সদস্যরা মিনাটিলা সীমান্তে ২৩ জনসহ মোট ৪০ জনকে আটক করেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তে ১৩ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময় ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো করে সীমান্ত এলাকায় রেখে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ২২ শিশু।
বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
বিজিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় ভারতে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র সদস
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
তিন জেলার সীমান্ত দিয়ে আরও ৩২ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার ভোরে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়। বিজিবি তাদের সবাইকে আটক করে নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই করছে। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিল বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, সোমবার গভীর রাতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ। টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, দু’জন নারী ও ৯ শিশু। একই রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্ত দিয়ে দু’জন পুরুষ, দু’জন নারী ও তিন শিশুকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের নাগরিকত্বের তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। এর পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে চার শিশুসহ ১২ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
বিজিবি জানায়, আনন্দবাস সীমান্তে ভোরের দিকে টহলের সময় সন্দেহজনক কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা। পরে আটক ১২ জনকে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িয়া থানায়। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। তাদের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।