সিলেটের জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় তাঁদের আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বিজিবির সদস্যরা জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করেন।

এর আগে সর্বশেষ ২৯ মে সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপির সদস্যরা মোকামপুঞ্জি সীমান্তে ১৭ জন এবং মিনাটিলা বিওপির সদস্যরা মিনাটিলা সীমান্তে ২৩ জনসহ মোট ৪০ জনকে আটক করেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তে ১৩ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময় ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো করে সীমান্ত এলাকায় রেখে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ২২ শিশু।

বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের নাম–পরিচয় সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে বিজিবির তত্ত্বাবধানে দুটি বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট এলাকার বলে জানা গেছে। তাঁদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে তাঁদের হস্তান্তরের কথা আছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে আটক ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় ভারতে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁরা দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সদস

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী