ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী হাইফা এবং তেল আবিবের নিকটবর্তী বাত ইয়ামেও বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। বহু হতাহতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বেইসানের কাছে উত্তরে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। ইসরায়েলের অন্তত চারটি স্থানে সাংবাদিকদের সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করতে বাধা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেয়র জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকে পড়ে আছেন। বাত ইয়ামে এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত এবং ৩৫ জন নিখোঁজের তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।

সংঘর্ষের প্রথম রাতের (গত শুক্রবার রাত) এবং ইসরায়েলের ওপর ইরানের প্রথম প্রতিশোধমূলক হামলার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিক্ষতি অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষ করে হাইফার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় হামলাগুলো বেশ মারাত্মক। এই বন্দরনগরীতে বেশ কয়েকটি জ্বালানি শোধনাগার রয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, ইসরায়েল যদি বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত হানে, তাহলে ইরানেরও একইভাবে প্রত্যাঘাত করার সক্ষমতা রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ