সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন যেসব অভিনেতা
Published: 15th, June 2025 GMT
বিশ্বের অনেক তারকা অভিনেত্রীদের মতো বলিউডের অভিনেত্রীরাও সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন। কেবল তাই নয়, বলিউডের অনেক তারকা অভিনেতা-নির্মাতাও সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন। বলিউডের এমন কজন তারকা অভিনেতাকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
শাহরুখ খান
বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন গৌরি খানের সঙ্গে। এ দম্পতির তিন সন্তান। ১৯৯৭ সালে জন্ম হয় তাদের পুত্র আরিয়ান খানের। ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন কন্যা সুহানা। ২০১৩ সালে জন্ম হয় এ দম্পতির ছোট ছেলে আব্রাম খানের। তবে ছোট ছেলে আব্রামের জন্ম হয়েছে সারোগেসির মাধ্যমে।
আমির খান
রিনা দত্তের সঙ্গে প্রথম ঘর বাঁধেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। এ সংসারে ইরা ও জুনায়েদ খান নামে দুটি সন্তান রয়েছে। প্রথম সংসার ভাঙার পর পরিচালক কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আমির খান। ২০১১ সালে এ দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় আজাদ রাও খান। তবে আজাদের জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া
‘দঙ্গল’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান?
তুষার কাপুর
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তুষার কাপুর। নব্বই দশকের শেষের দিকে বলিউডে পা রেখে আলোচনার জন্ম দেন। ৪৮ বছরের তুষার কাপুর ব্যক্তিগত জীবনে এখনো একা। ২০১৬ সালে এই অভিনেতা বাবা হওয়ার ঘোষণা দেন। বিয়ে না করেও বাবা হওয়ার খবর জানানোর পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। আইভিএফ এবং সারোগেসির মাধ্যমে পুত্রসন্তানের বাবা হন এই অভিনেতা।
করন জোহর
বলিউডের দাপুটে পরিচালক করন জোহর। নির্মাণ ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ৫৩ বছরের করন জোহর এখনো অবিবাহিত। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জমজ সন্তানের বাবা হন করন জোহর। সারোগেসির মাধ্যমে একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি।
সোহেল খান
সালমান খানের ভাই বলিউড অভিনেতা সোহেল খান। ১৯৯৮ সালে সীমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এ দম্পতির নির্বাণ ও ইয়োহান নামে দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১১ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের ছোট পুত্র ইয়োহান। তার জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কখনো কোনো তথ্য জানাননি এই অভিনেতা।
শ্রেয়াস তালপাড়ে
বলিউড অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে। বিয়ের ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে সারোগেসির মাধ্যমে তার মেয়ের জন্ম হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক
অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বর্তমানে প্রায় চার লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে পরিচিত অ্যাপল নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও পিছিয়ে নেই।
টিম কুকের জন্ম ১৯৬০ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মোবাইল শহরে। অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর তিনি প্রযুক্তিশিল্পে কর্মজীবন শুরু করেন। অ্যাপলে যোগদানের আগে তিনি আইবিএমের পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবসায় ১২ বছর কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে ইন্টেলিজেন্ট ইলেকট্রনিকস ও কম্প্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে স্টিভ জবসের আমন্ত্রণে অ্যাপলে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ওয়ার্ল্ডওয়াইড অপারেশনস পদে যোগ দেন টিম কুক। দ্রুতই অ্যাপলের সরবরাহ শৃঙ্খল ও উৎপাদনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অ্যাপলের কারখানা বন্ধ করে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি শুরু করেন তিনি। ফলে অ্যাপলের উৎপাদন খরচও কমে আসে। ২০০৫ সালে তিনি অ্যাপলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে পদোন্নতি পান। স্টিভ জবসের অসুস্থতার সময় তিনি একাধিকবার অ্যাপলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টিম কুক।
জবসের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে টিম কুক আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই স্টিভ জবসের উদ্ভাবনী জাদুকরের ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে টিম কুক অ্যাপলকে দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
অ্যাপল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্যও আলোচিত টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল ওয়াচ ও এয়ারপডসের মতো সফল পণ্য বাজারে আসে এবং ইন্টেলের পরিবর্তে নিজস্ব চিপ এম১ প্রসেসর ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল, যা অ্যাপলের অন্যতম সাহসী ও সফল কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিশিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেলেও স্টিভ জবসের গড়ে তোলা আইফোন আর ম্যাকের মতো প্রযুক্তিপণ্যের উদ্ভাবনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন টিম কুক।
সূত্র: অ্যাপল