বিশ্বের অনেক তারকা অভিনেত্রীদের মতো বলিউডের অভিনেত্রীরাও সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন। কেবল তাই নয়, বলিউডের অনেক তারকা অভিনেতা-নির্মাতাও সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন। বলিউডের এমন কজন তারকা অভিনেতাকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন। 

শাহরুখ খান
বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন গৌরি খানের সঙ্গে। এ দম্পতির তিন সন্তান। ১৯৯৭ সালে জন্ম হয় তাদের পুত্র আরিয়ান খানের। ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন কন্যা সুহানা। ২০১৩ সালে জন্ম হয় এ দম্পতির ছোট ছেলে আব্রাম খানের। তবে ছোট ছেলে আব্রামের জন্ম হয়েছে সারোগেসির মাধ্যমে। 

আমির খান
রিনা দত্তের সঙ্গে প্রথম ঘর বাঁধেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। এ সংসারে ইরা ও জুনায়েদ খান নামে দুটি সন্তান রয়েছে। প্রথম সংসার ভাঙার পর পরিচালক কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আমির খান। ২০১১ সালে এ দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় আজাদ রাও খান। তবে আজাদের জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছে।    

আরো পড়ুন:

‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া

‘দঙ্গল’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান?

তুষার কাপুর
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তুষার কাপুর। নব্বই দশকের শেষের দিকে বলিউডে পা রেখে আলোচনার জন্ম দেন। ৪৮ বছরের তুষার কাপুর ব্যক্তিগত জীবনে এখনো একা। ২০১৬ সালে এই অভিনেতা বাবা হওয়ার ঘোষণা দেন। বিয়ে না করেও বাবা হওয়ার খবর জানানোর পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। আইভিএফ এবং সারোগেসির মাধ্যমে পুত্রসন্তানের বাবা হন এই অভিনেতা। 

করন জোহর
বলিউডের দাপুটে পরিচালক করন জোহর। নির্মাণ ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ৫৩ বছরের করন জোহর এখনো অবিবাহিত। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জমজ সন্তানের বাবা হন করন জোহর। সারোগেসির মাধ্যমে একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি।   

সোহেল খান
সালমান খানের ভাই বলিউড অভিনেতা সোহেল খান। ১৯৯৮ সালে সীমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এ দম্পতির নির্বাণ ও ইয়োহান নামে দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১১ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের ছোট পুত্র ইয়োহান। তার জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কখনো কোনো তথ্য জানাননি এই অভিনেতা। 

শ্রেয়াস তালপাড়ে
বলিউড অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে। বিয়ের ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে সারোগেসির মাধ্যমে তার মেয়ের জন্ম হয়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

২০২৪ সালের ২৭ অগাস্ট শাহবাগ থানায় দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। 

গত ২৪ জুলাই সকালে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক এ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  

সম্প্রতি তার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংগঠনটি দাবি করেছে, ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ তিনি।

খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে বয়স অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি হিসেবে তার সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত রায় ছিল সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। ওই রায়ের পর দেশে আর কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়নি।

বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১১ সালে এই রায় ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থি। এরপর থেকে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সরকারে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই রায়ের মধ্য দিয়েই দেশে একতরফা নির্বাচন ও গণতন্ত্রহীনতার ভিত্তি তৈরি হয়।

২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আইন সংস্কার সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব ও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় আইনি সেমিনার, বক্তৃতা এবং পরামর্শমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী ও মহলগুলো তাকে ‘সংবিধান রক্ষার সাহসী রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করলেও, বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মতে তিনি ‘বিচার বিভাগের রাজনৈতিকীকরণের পথপ্রদর্শক’। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলেছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে তিনি দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।’

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার, বাড়ি ফিরছেন লাখো মানুষ
  • সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে