ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে প্রয়োজন আইন সংশোধন: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 18th, June 2025 GMT
ভোক্তাদের আরও স্বস্তি দিতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে তৈরি হলে ও সক্ষমতা বাড়লে এই খাতের দুর্বৃত্তরা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।’
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি মিলনায়তনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিগত রমজান মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিদপ্তর ও বিএসটিআইয়ের তদারকির ফলে পণ্যের দাম বাড়েনি। এতে বোঝা যায় যোগ্য ব্যক্তি দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের একটি সিন্ডিকেট তৈরির সময় এসেছে মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্যায় ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার যে সংস্কৃতি, সেখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে ক্রয়ক্ষমতা। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজ করছে।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। বিভিন্ন রকম বাজার সিন্ডিকেট হয়েছে এবং ভোক্তার অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব হয়েছে। এখন সময় এসেছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীভাবে গড়ে তোলার।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ক্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী, ক্যাবের উপদেষ্টা আনিসুল হক। এ সময় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও বিভাগের ক্যাবের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে স্ত্রীকে হত্যা, পুকুরে মিলল লাশ
সকালে বোন সাবিনা বেগমকে গাড়িতে তুলে দেন ভাই দুলাল আহমদ। বোনের জামাই আনু মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির পথেও যাত্রা করেন। কিন্তু স্বামীর ঘরে আর ফেরা হয়নি সাবিনার। তারা লাশ পাওয়া গেল পুকুরে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী তাকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেয়। ঘটনার পর বুধবার রাতে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
সাবিনা বেগম (৩০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের নোয়াই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। আটক স্বামী আনু মিয়া একই উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে। দাম্পত্য কলহের যার ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাবিনা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে রওনা দেন। সাবিনার ভাই দুলাল তাদেরকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। কুনু মিয়া নিয়মিত রাস্তায় না গিয়ে বিকল্প পথে রাস্তায় যান। বিকেলে বাগলা এলাকার শওকত মাস্টারের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি পুকুরে লাশ পাওয়া যায় সাবিনার। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু সাবিনার স্বামী কিভাবে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে যায় সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
রাতে আনু মিয়াকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কীভাবে, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে আটক আনু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।