খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে আবারও ৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে নারী–শিশুসহ ৯ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এর মধ্যে ৫ জন নারী, ১টি শিশু ও ৩ জন পুরুষ।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম বলেন, গভীর রাতে ৯ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। সীমান্ত অতিক্রম করে আসা এসব লোকজনকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে কীভাবে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হলো, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। ঠেলে পাঠানো লোকজন জানান, তাঁরা ভারতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁদের বেলছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। পরিচয় যাচাই–বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

চলতি বছরের ৭ মে প্রথমবার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি উপজেলার তিনটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশিদের ঠেলে পাঠানো শুরু করে বিএসএফ। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৪ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ ঠেলে পাঠিয়েছে। সর্বশেষ ১৯ জুন মাটিরাঙ্গার তানাক্কাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ৯ জনক

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ মাস পর ভারতে ফিরে গেলেন সোনালি

বিএসএফের পুশইনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালি দীর্ঘ ৫ মাস ৮ দিন পর নিজ দেশে ফিরে গেছেন। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

‘দৃশ্যম থ্রি’ নিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল

১ লাখ কোটি টাকার পারিবারিক ব্যবসাও সামলান এই তারকা-পত্নী

এ সময় তার সঙ্গে ফিরেছেন ৮ বছর বয়সী ছেলে সাব্বির শেখ। সীমান্তের শূন্যরেখায় সোনালিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সময় আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। 

গত ২৬ জুন সোনালিসহ ৬ জন ভারতীয়কে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয় ভারতীয় কুড়িগ্রাম থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আলীনগরে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে ২০ আগস্ট পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পরে তাদেরকে ফেরত নিতে রাজি হয়নি বিএসএফ। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুজন শিশু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

ওই ছয়জন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার পাকুরের বাসিন্দা। তারা হলেন— দানিশ শেখ (২৮), তার স্ত্রী সোনালি বিবি (২৬), সুইটি বিবি (৩৩), মো. কুরবান দেওয়ান (১৬), সোনালি বিবির সন্তান সাব্বির শেখ (৮) ও সুইটি বিবির সন্তান মো. ইমাম দেওয়ান (৬)।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর শুনানি শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম ৪ ভারতীয়র জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়ার পর ওই রাতেই তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে আত্মীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়াগোলা এলাকার বাসিন্দা ফারুক হোসেনের বাড়িতে উঠেছিলেন। তবে, দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ আবারও তাদেরকে হেফাজতে নেয়। ২ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে তাদেরকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই নয়াগোলায় তারা অবস্থান করছিলেন।

এ বিষয়ে ৫৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক বেলার বলেছেন, মানবিক কারণে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি ও তার ৮ বছরের ছেলে সাব্বির শেখের কাগজপত্র যাচাই শেষে শুক্রবার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি চারজনের কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে তাদেরকেও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত
  • পাটগ্রাম সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত পাঠাল বিএসএফ
  • অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি, কৃষক দলের নেতাকে বিজিবির হাতে তুলে দিল বিএসএফ
  • ভারতে ফেরত পাঠানো হলো অন্তঃসত্ত্বা সোনালী বিবি ও তাঁর শিশুসন্তানকে
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো স্বজনের মুখ দেখার সুযোগ দিল বিজিবি ও বিএসএফ
  • পাঁচ মাস পর ভারতে ফিরে গেলেন সোনালি
  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত