ময়মনসিংহে কিশোরীকে ধর্ষণ: যুবক গ্রেপ্তার
Published: 26th, June 2025 GMT
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় স্কুল পড়ুয়া কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের মামলায় জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম উপজেলার আশ্রবপুর গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১৪'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুজ্জামান বলেন, গত ২৭ মে মধ্যরাতে জহিরুল ইসলাম ১৩ বছর বযসী ছাত্রীকে তার নিজের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার পর র্যাব-১ এর সহায়তায় বুধবার (২৫ জুন) গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ১৪ এর একটি দল।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারের পর জহিরুল ইসলামকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/মিলন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।