১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। পরে সেই শ্রাবন্তী হয়ে ওঠেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। ২০২৩ সালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিতে শ্রাবন্তী হন প্রসেনজিতের নায়িকা।

আবারও ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী। যদিও এখানে তারা ঠিক নায়ক-নায়িকা নন। এই ছবিতে ‘ভবানী পাঠক’-এর ভূমিকায় দেখা যাবে বুম্বাদাকে। আর শ্রাবন্তী হচ্ছেন ‘দেবী চৌধুরানী’।

এই সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসের অবলম্বনে। আজ সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ চমক দিলেন ‘দেবী চৌধুরানী’র কলাকুশলীরা। বিশেষ এই দিনে নৈহাটি কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্রের বাসভবনে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়রা।

পরে সংবাদ সম্মেলনে অভিনেতা প্রসেনজিৎ জানালেন, ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমাটি ২০২৫ সালে মুক্তি পাবে।’

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘বঙ্কিমবাবু অদ্ভূতভাবে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে দিয়েছেন। যা অকল্পনীয়। তার লেখা এইরকম একটি ঐতিহাসিক উপন্যাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনেতা ও বাঙালি হিসেবে আমি আপ্লুত।’

তিনি আরও বলেন, “ভবানী পাঠকের চরিত্রটা আমার কাছে খুব কঠিন চরিত্র ছিল। এটা লালন করতে হয়েছে। শুধু আমার চরিত্র নয়, এই সিনেমার প্রত্যেকটি চরিত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কষ্ট করে আমরা কাজটি করেছি।’ 

সকল দর্শকদের উদ্দেশ্যে এই সিনেমাটি বেশ কয়েকটি ভাষায় দেখা যাবে বলেও জানালেন প্রসেনজিৎ।

‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমায় হরবল্লভ রায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। অর্জুন চক্রবর্তীকে দেখা যাবে রঙ্গরাজের ভূমিকায়। বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে নিশির ভূমিকায়। দর্শনা বণিক অভিনয় করবেন সাগরের চরিত্রে। কিঞ্জল নন্দকে দেখা যাবে ব্রজেশ্বরের ভূমিকায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র বন ত শ র বন ত চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

আরো পড়ুন:

জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব

ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”

শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।

আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ