ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার জাবি শিক্ষার্থী
Published: 30th, June 2025 GMT
মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড.
এতে বলা হয়, হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করে ওই শিক্ষার্থী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। যা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারা অনুযায়ী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ তদন্ত করে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২৮ জুন তৌফিক ইসলাম নাবিলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি দ্রুততম সময়ে শিক্ষার্থীদের নজরে এলে ক্যাম্পাসজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। ২৯ জুন শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিসহ তিন দফা দাবি জানান।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বলছেন, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটে যে মন্তব্য রয়েছে, তা তিনি করেননি। যে আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মতো মন্তব্য করা হয়েছে, সেই আইডির নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে তার হাতে নেই।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাহ আরেফিন টিলা থেকে আবার পাথর লুট, ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর লুট থামছে না। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের অভিযানে কোম্পানীগঞ্জের টুকেরবাজার এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি পাথরসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
পরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ওই পাথর ব্যবসায়ীর নাম মনির হোসেন (৩৫)। তিনি কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুরের খায়ের গাঁও এলাকার বাসিন্দা। টুকেরবাজার এলাকায় তাঁর স্টোন ক্রাশার মিল (পাথর ভাঙার) আছে। শাহ আরেফিন টিলা থেকে লুট হওয়া পাথর মজুত রাখেন তিনি। পরে পাথরগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। গতকাল রাতে বিক্রির জন্য ট্রাকে থাকা পাথরসহ তাঁকে আটক করা হয়। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সরকারি খাস খতিয়ানে ১৩৭ দশমিক ৫০ একর জায়গায় শাহ আরেফিন টিলার অবস্থান। কথিত আছে, প্রায় ৭০০ বছর আগে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর অন্যতম সফরসঙ্গী হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) খাসিয়া পাহাড় এলাকা পরিভ্রমণকালে পাহাড়-টিলার চূড়ায় বিশ্রাম নিতেন। শাহ আরেফিনের একটি ‘আসন’ (বিশ্রামের স্থান) হিসেবে পরিচিতি থেকে ওই টিলার নামকরণ হয় শাহ আরেফিন টিলা।
লালচে, বাদামি ও আঠালো মাটির এ টিলার নিচে আছে বড় বড় পাথর। এসব পাথর উত্তোলন করতেই চলছে ধ্বংসযজ্ঞ। এর মধ্যে টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর লুট হয়ে গেছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।