লক্ষ্মীপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ছেলে গ্রেপ্তার
Published: 30th, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় হজরত আলী গাজী (৭৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় তাঁর ছেলে মো. মামুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ঢাকার চকবাজারে এলাকার ঢাকেশ্বরী রোড থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর আজ সোমবার সকালে তাঁকে রায়পুর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১১ জুন রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ সর্দার ব্রিজ এলাকায় হজরত আলী গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে নুর হোসেন গাজী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে মামুনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আলীকে তাঁর ছেলে মো.
র্যাব-১১–এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘মামুন তাঁর বাবাকে হত্যার মামলাটিতে একমাত্র আসামি। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অবস্থান শনাক্তের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এর আগেও মামুনকে মাদক আইনে করা একটি মামলায় গত ৫ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ৪ জুন তিনি জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হন। এরপর ১১ জুন তাঁর বাবাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। মামুনকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যা মামলার আসামি লিমন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বিচারকের ছেলের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে: ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক১৪ নভেম্বর ২০২৫গাজিউর রহমান বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বেলা ২টার দিকে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পর আদালত থেকে তাঁকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে ওই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় ওই বিচারকের বাসায় যান গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লিমনের ছুরিকাঘাতে ওই বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও (৪৪) আহত হন। এসব ঘটনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে লিমনও আহত হন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান। আসামি এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্ত্রী আহত১৩ নভেম্বর ২০২৫