খুলনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী রফিকুল ইসলামকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। সোমবার রাতে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আটক রফিকুল ইসলাম রূপসা ইস্পাহানি গলির বাসিন্দা শাহজাহান সরদারের ছেলে। তিনি এক সময় আলিয়া মাদ্রাসার লেখাপড়া করতেন।  বর্তমানে তিনি রূপসা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতিতে চাকরি করেন।

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন জানান, স্থানীয়রা রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশের খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষা ভবনের সামনে আজও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান 

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শিক্ষা ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। 

এসময় তারা ‘শিক্ষা সিন্ডিকেট বন্ধ করো, করতে হবে,’ ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না,’ ‘আমাদের দাবি মেনে নেও, নিতে হবে,’ ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না,’ ‘রাষ্ট্র তোমার সময় শেষ, অধ্যাদেশ জারি কর’ এমন স্লোগান দেন।   

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্ক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এখন শুধুই অধ্যাদেশ! এরইমধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সকল অংশীজনের মতামত নিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় খসড়া চূড়ান্ত করার অভিপ্রায়ে, গত ২০ ও ২১ অক্টোবর এবং গত ১৭ নভেম্বর যথাক্রমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই- সুশীল সমাজের সঙ্গে তিনটি সভা করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো আমাদের চূড়ান্ত মুক্তি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের কোনো গতিশীলতা চোখে পড়ছে না। 

এ কারণে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া চলতি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ অধ্যয়নরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পরিচয় সংকট এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেনে বলে তারা জানিয়েছেন। 

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি রূপান্তর আন্দোলনের সমন্বয়ক নাঈম হাওলাদার বলেন, "আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল বাধ্য হয়ে আমরা সড়ক বন্ধ করেছি। আমাদের দাবি, আজকের মধ্যে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। আমরা সাত কলেজ বলে কিছু মানি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। সরকারকে বলব, টালবাহানা না করে অতি দ্রুত 'ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫' প্রণয়ন করুন।

এর আগে গতকাল রবিবার প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ