খুলনায় ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
Published: 1st, July 2025 GMT
খুলনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী রফিকুল ইসলামকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। সোমবার রাতে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক রফিকুল ইসলাম রূপসা ইস্পাহানি গলির বাসিন্দা শাহজাহান সরদারের ছেলে। তিনি এক সময় আলিয়া মাদ্রাসার লেখাপড়া করতেন। বর্তমানে তিনি রূপসা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতিতে চাকরি করেন।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন জানান, স্থানীয়রা রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশের খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির প্রথম সংসার কেন ভেঙেছিল?
‘কাঁটা লাগা গার্ল’খ্যাত তারকা অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। গত ২৭ জুন মারা যান তিনি। মাত্র ৪২ বছর বয়সে শেফালির মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ফলে তাকে নিয়ে আলোচনা থামছেই না।
অল্প বয়সে তারকা খ্যাতি কুড়ানোর পর সংগীত পরিচালক হরমিত সিংহের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান শেফালি। ২০০৪ সালে হরমিতের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এ সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ২০০৯ সালে হরমিতের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় শেফালির। কিন্তু এই সংসার কেন ভেঙেছিল? ২০২১ সালে টাইমস নাউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন এই অভিনেত্রী।
প্রথম স্বামী হরমিতের সঙ্গে শেফালি জারিওয়ালা
সংসার ভাঙার বিষয়ে শেফালি জারিওয়ালা বলেছিলেন, “আপনাকে কেউ মূল্যায়ন করছে না—এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্যাতন কেবল শারীরিকভাবেই করা হয় না। অনেক মানসিক নির্যাতনও রয়েছে, যা ঘটলে আপনি জীবনে খুবই অসুখী হবেন। আমার মনে হয়, নিজের জন্য এই সিদ্ধান্ত (ডিভোর্স) নেওয়ার এটি অন্যতম একটি কারণ।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে শেফালি জারিওয়ালা বলেছিলেন, “আমি স্বাধীন ছিলাম, নিজে অর্থ উপার্জন করছিলাম। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় ভয় সমাজ। বিবাহবিচ্ছেদকে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়! কিন্তু আমি যেভাবে বড় হয়েছি, তা হলো সমাজের কথা চিন্তা না করে, আমরা যা সঠিক মনে করি তা করা। আমি আমার জীবনে এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পেরেছিলাম এবং আমার দৃঢ় সমর্থন ছিল।”
শেফালি জারিওয়ালা
যেসব নারীরা দাম্পত্য জীবনে সুখী নন, তাদের উদ্দেশ্যে শেফালি বলেছিলেন, “নারীদের উপলদ্ধি করতে হবে, সত্যি তারা স্বাধীন হতে চায় এবং পরিস্থিতি বুঝতে হবে। কখনো কখনো নারীরা বছরের পর বছর বুঝতে পারে না, তারা সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করছে না।”
প্রচলিত আইনের কথা উল্লেখ করে শেফালি জারিওয়ালা বলেছিলেন, “পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারে। আমাদের দুর্দান্ত আইনজীবী আছেন। দেশের আইন অনেক উপায়ে নারীদের রক্ষা করে। তাদের পরামর্শ নিতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে। নারীদের নিজস্ব একটি সাপোর্ট সিস্টেম থাকা উচিত, জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ভালোবেসে ঘর বাঁধলেও হরমিতের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন শেফালি। পরবর্তীতে আইনিভাবে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি। হরমিতের সঙ্গে প্রথম সংসার ভাঙার পর প্রায় পাঁচ বছর সিঙ্গেল ছিলেন শেফালি। পরে কমন এক বন্ধুর মাধ্যমে এক ডিনার পার্টিতে পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে পরিচয় হয় এই অভিনেত্রীর।
দ্বিতীয় স্বামী পরাগের সঙ্গে শেফালি জারিওয়ালা
পরাগের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়ে শেফালি বলেছিলেন, “আমি তখন সিঙ্গেল ছিলাম। এটা ছিল একটা সাজানো ডেট। আমরা একে অপরকে সত্যিই খুব পছন্দ করতাম। তাৎক্ষণিকভাবে ভালোবেসে ফেলি। পরাগ আর আমি অনেক দিক থেকে একই। যদিও কিছু বিষয়ে আলাদা। আমার মনে হয়, আমরা একে অপরের ভারসাম্য বজায় রাখি।”
২০১২ সালে ‘নাচ বালিয়ে’-এর সেটে শেফালিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পরাগ ত্যাগী। কিন্তু তার কয়েক বছর আগে থেকেই তারা সম্পর্কে ছিলেন। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন শেফালি-পরাগ। এ দম্পতির কোনো সন্তান নেই। তবে সন্তান দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শেফালি। যদিও তার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল!
ঢাকা/শান্ত