রাতে হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
Published: 23rd, November 2025 GMT
স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য রাতে আবার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
রবিবার রাত ৮টায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন একথা জানান।
আরো পড়ুন:
শীতকালে জলপাই কেন খাবেন?
বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারই দূষিত, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, “ম্যাডামের জন্য গঠিত যে মেডিকেল বোর্ড আছে, তাদের পরামর্শক্রমে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হসপিটালে ম্যাডামকে ভর্তি করা হয়েছে। উনি কেবিনে আছেন। টেস্টের রিপোর্টগুলো বোর্ড পর্যালোচনার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
বাসস লিখেছে, সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপার্সন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে এক দিন থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুই অধ্যাপককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণায় প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিষ্টি বিতরণসহ নানা আয়োজন
অব্যাহতিপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক হলেন সহকারী অধ্যাপক সাজু সরদার ও তানজিল ভূঞা। তাদেরকে তদন্ত চলাকালীন একাডেমিক ও বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভার সুপারিশের ভিত্তিতেই কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে তানজিল ভূঞা বলেন, “প্রথমে চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বটি তৈরি হয়। তারপর গত ৬ থেকে ৯ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ফ্রিডম ডে উপলক্ষে একটা মেলা হয়। তখন সেই মেলায় তাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় না এবং আমাকে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই মেলা নিয়ে আমাদের একটা মিটিং হয়, সেই মিটিংয়ে একটা গ্যাঞ্জাম হয়।”
“সেই গ্যাঞ্জামের এক পর্যায়ে আমি তাকে যখন বলি, ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা আপনি খেয়েছেন। এরপর তিনি আমাকে আমার ছাত্রীর সাথে বিয়ের কথা তুলে খোটা দেন। এরপর মেলার ৩ দিন আগে মেলা বানচাল করার জন্য প্রায় ৬ মাস আগের একটি ভিডিও সামনে আনেন, যেখানে আমার স্ত্রীকে (ছাত্রী) দেখা যায়, আমার দিকে একটি খাতা ছুড়ে মারছেন। এরপর থেকেই আমার নানা বিষয় তুলে তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত হেনস্থা করছেন,” বলেন তানজিল ভূঞা।
তিনি দাবি করেন, “আন্দোলনটা প্রথমে তাকে বহিষ্কার করার জন্য হচ্ছিলো, কিন্তু পরে সেটা আমার উপরেও আসে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সকল প্রমাণ দেখানো সত্ত্বেও তারা বলেন আমাদের দুজনের এই কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণ নিয়ে আজকে রাকসু প্রশাসনের কাছে গেলে প্রশাসন সিদ্ধান্ত দেয় যে, আমাদের দুজনের কারণে যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছে এবং বিভাগে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই আমাদের দুজনকেই বিভাগের সকল এ কাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।”
সাজু সরদার বলেন, “প্রশাসনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেই সব ক্লিয়ারভাবে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেখানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এই বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই তদন্ত কমিটির প্রথম সভার সুপারিশে তাদেরকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।”
এর আগে, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য অভিযোগ তদন্তে সিন্ডিকেট সদস্য ও আরবি বিভাগের অধ্যাপক মো. নিজাম উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গত ১০ ও ১১ নভেম্বর ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল ভূঞাকে চরিত্রহীন, লম্পট ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই আন্দোলন করেন তারা।
ঢাকা/ফাহিম/রাসেল