শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ব্যক্তিগত, জামায়াত এটি সমর্থন করে না
Published: 23rd, November 2025 GMT
প্রশাসন নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যটি তাঁর নিজস্ব এবং এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনের প্রধান মুহাম্মদ শাহজাহান।
আজ রোববার সন্ধ্যা সাতটায় দলটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মুহাম্মদ শাহজাহান। এর আগে প্রথম আলোকেও একই বক্তব্য দেন তিনি। বিবৃতিতে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই ওনার (শাহজাহান চৌধুরী) বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা উনি ভালো দিতে পারবেন। তাঁর এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মুহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। অতীতে প্রশাসনের যাঁরা পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেননি, তাঁরা দেশের ক্ষতি করেছেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা ও অস্ত্র ঢুকবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী। তিনি চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাবেক আমির ছিলেন।
সভায় শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়.
শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক, নুরুল আমিন (নগরের সেক্রেটারি) ভাইয়ের ফটিকছড়িতে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম, তা সকালবেলায় জেনে নেবেন আর আপনাকে প্রটোকল দেবেন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হজ হ ন চ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাউলদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি গণসংহতি আন্দোলনের
মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলেছে, অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রত্যেক নাগরিকের নিজের ধর্ম ও জীবনচর্চার অধিকার নিশ্চিতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বিবৃতিতে যেকোনো জবরদস্তিমূলক মতামত চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায় গণসংহতি আন্দোলন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, বাউলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহির পাশাপাশি অবিলম্বে সারা দেশে বাউলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।