বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। আজ বৃহস্পতিবার বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়ার কাছে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় বেবিচকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মকর্তারা জানান, তিনি ৮ জানুয়ারি ১৯৯০, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে যোগ দান করেন এবং ১৩ অক্টোবর ১৯৯২, রয়েল মালয়েশিয়ান এয়ার ফোর্স থেকে জেনারেল ডিউটিজ (পাইলট) শাখায় কমিশনপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে তিনি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এয়ার অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসেবে তিনি ২ হাজার ৯০০ ঘণ্টারও বেশি উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছেন এবং ‘ক্যাটাগরি এ’ ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। 

জানা যায়, এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ বিভিন্ন ধরনের বিমান চালিয়েছেন। এ ছাড়া দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় উন্নয়ন প্যারা জাম্প কোর্স, ভারতে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর কোর্স এবং তুরস্কে ‘হাই জি’ কোর্স। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাক্সওয়েল এয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি মিরপুরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ওয়ার কোর্স এবং ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে এনডিসি সম্পন্ন করেছেন।

তার বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে তিনি বিমানবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন, ২৫ স্কোয়াড্রন এবং ৩৫ স্কোয়াড্রনের অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এ ফ্লাইং উইং-এর অফিসার কমান্ডিং ছিলেন। বিমান সদর দপ্তরে পরিচালক (রিক্রুটমেন্ট) ও পরিচালক (বিমান পরিচালন) হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বেও তিনি দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে এয়ার উইং-এর ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে ডাইরেক্টিং স্টাফ (এয়ার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি ডিআর কঙ্গোতে বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট ইউনিটের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনসহ তার সাহসিকতা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘বিএসপি’ এবং ‘জিইউপি’ পদক অর্জন করেছেন বলে জানান, বেবিচকের সহকারি পরিচালক জনসংযোগ মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ব চক ন কর ছ ন র কম ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ