বেবিচকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করলেন মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক
Published: 3rd, July 2025 GMT
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। আজ বৃহস্পতিবার বেবিচকের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়ার কাছে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় বেবিচকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা জানান, তিনি ৮ জানুয়ারি ১৯৯০, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে যোগ দান করেন এবং ১৩ অক্টোবর ১৯৯২, রয়েল মালয়েশিয়ান এয়ার ফোর্স থেকে জেনারেল ডিউটিজ (পাইলট) শাখায় কমিশনপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে তিনি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এয়ার অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসেবে তিনি ২ হাজার ৯০০ ঘণ্টারও বেশি উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছেন এবং ‘ক্যাটাগরি এ’ ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
জানা যায়, এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ বিভিন্ন ধরনের বিমান চালিয়েছেন। এ ছাড়া দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় উন্নয়ন প্যারা জাম্প কোর্স, ভারতে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর কোর্স এবং তুরস্কে ‘হাই জি’ কোর্স। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাক্সওয়েল এয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি মিরপুরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ওয়ার কোর্স এবং ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে এনডিসি সম্পন্ন করেছেন।
তার বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে তিনি বিমানবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন, ২৫ স্কোয়াড্রন এবং ৩৫ স্কোয়াড্রনের অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এ ফ্লাইং উইং-এর অফিসার কমান্ডিং ছিলেন। বিমান সদর দপ্তরে পরিচালক (রিক্রুটমেন্ট) ও পরিচালক (বিমান পরিচালন) হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বেও তিনি দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে এয়ার উইং-এর ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে ডাইরেক্টিং স্টাফ (এয়ার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি ডিআর কঙ্গোতে বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন ট্রান্সপোর্ট ইউনিটের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনসহ তার সাহসিকতা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘বিএসপি’ এবং ‘জিইউপি’ পদক অর্জন করেছেন বলে জানান, বেবিচকের সহকারি পরিচালক জনসংযোগ মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ব চক ন কর ছ ন র কম ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত