টালিউডে ফেডারেশন-পরিচালক দ্বন্দ্বে কাজ হারাচ্ছেন একাধিক পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতা। নিজেদের কাজ বজায় রাখতে তাদের মধ্যে ১৩ জন পরিচালক হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন। তাদেরই এক অভিনেতা-পরিচালককে নাম না করে রীতিমত ক্ষোভ ঝাড়লেন শ্রীলেখা মিত্র।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি তো বছরের পর বছর কাজ পাই না। কই, তা নিয়ে তো কারও কোনও মাথাব্যথা নেই।’

শ্রীলেখা জানিয়েছেন, টালিউডে কাজ নেই। বাংলায় তাই তার থাকারও ইচ্ছে নেই। মুম্বাইয়ে থাকা প্রচণ্ড খরচ সাপেক্ষ। তাই ওখানেও থিতু হতে পারছেন না।

প্রশ্ন রেখে শ্রীলেখা বলেন, “সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘মায়ানগর’ দর্শক প্রশংসিত। সঠিক প্রচার, সিনেমা হলে সঠিক সময় পেলে ওই ছবি আরও ভাল ফল করত। আমার হয়ে বলবেন কে? এখানে তো কারো দায় নেই।”

শ্রীলেখার অভিযোগ, তাকে নিয়ে টালিউডের আপত্তি বা সমস্যা আজকের নয়। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর সময়ে বাংলায় ‘স্বজনপোষণ’-এর কিছু উদাহরণ দিয়েছিলেন তিনি। নাম করেছিলেন কিছু বিনোদন দুনিয়ার কিছু ‘রাঘব বোয়াল’-এর। তারপর থেকেই বিপর্যয় শুরু।

শ্রীলেখার ভাষ্য, ‘সরকারবিরোধী কথা বলায় আমার হাতে আসা বিজ্ঞাপনী ছবির কাজ কেড়ে নেওয়া হয়। ছবি পরিচালনা করব। কোনও প্রযোজক পাচ্ছি না! অথচ মুম্বাই গিয়ে সম্প্রতি সুধীর মিশ্রের পরিচালনায় কাজ করলেন। বলিউড তাকে যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছে।’

নিজেকে বদলানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন আছি তেমনই থাকব। কখনো বদলাবো না। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করব না। এভাবেই একদিন না একদিন ফিরব আমি।’ সূত্র: আনন্দবাজার ডটকম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ