বছরের পর বছর কাজ আমি পাই না, কার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন শ্রীলেখা
Published: 5th, July 2025 GMT
টালিউডে ফেডারেশন-পরিচালক দ্বন্দ্বে কাজ হারাচ্ছেন একাধিক পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতা। নিজেদের কাজ বজায় রাখতে তাদের মধ্যে ১৩ জন পরিচালক হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন। তাদেরই এক অভিনেতা-পরিচালককে নাম না করে রীতিমত ক্ষোভ ঝাড়লেন শ্রীলেখা মিত্র।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি তো বছরের পর বছর কাজ পাই না। কই, তা নিয়ে তো কারও কোনও মাথাব্যথা নেই।’
শ্রীলেখা জানিয়েছেন, টালিউডে কাজ নেই। বাংলায় তাই তার থাকারও ইচ্ছে নেই। মুম্বাইয়ে থাকা প্রচণ্ড খরচ সাপেক্ষ। তাই ওখানেও থিতু হতে পারছেন না।
প্রশ্ন রেখে শ্রীলেখা বলেন, “সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘মায়ানগর’ দর্শক প্রশংসিত। সঠিক প্রচার, সিনেমা হলে সঠিক সময় পেলে ওই ছবি আরও ভাল ফল করত। আমার হয়ে বলবেন কে? এখানে তো কারো দায় নেই।”
শ্রীলেখার অভিযোগ, তাকে নিয়ে টালিউডের আপত্তি বা সমস্যা আজকের নয়। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর সময়ে বাংলায় ‘স্বজনপোষণ’-এর কিছু উদাহরণ দিয়েছিলেন তিনি। নাম করেছিলেন কিছু বিনোদন দুনিয়ার কিছু ‘রাঘব বোয়াল’-এর। তারপর থেকেই বিপর্যয় শুরু।
শ্রীলেখার ভাষ্য, ‘সরকারবিরোধী কথা বলায় আমার হাতে আসা বিজ্ঞাপনী ছবির কাজ কেড়ে নেওয়া হয়। ছবি পরিচালনা করব। কোনও প্রযোজক পাচ্ছি না! অথচ মুম্বাই গিয়ে সম্প্রতি সুধীর মিশ্রের পরিচালনায় কাজ করলেন। বলিউড তাকে যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছে।’
নিজেকে বদলানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন আছি তেমনই থাকব। কখনো বদলাবো না। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করব না। এভাবেই একদিন না একদিন ফিরব আমি।’ সূত্র: আনন্দবাজার ডটকম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ২
যশোরে ২৩টি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। শনিবার ভোরে যশোর সদরের মুরাদগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়ে তাদের আটক করা হয়। তিন কেজি ওজনের ওই স্বর্ণের দাম সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- যশোরের শার্শা উপজেলার সালতা গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩০) ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মো. মেহেদী হাসান (২৫)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন যে, ঢাকার সদরঘাট এলাকার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো সংগ্রহ করে তারা ভারতে পাচারের উদ্দেশে যশোর-মহেশপুর সীমান্তে যাচ্ছিলেন।
বিজিবি যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় একটি টহল দল অভিযান চালায়। এ সময় দুই ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তাদের কোমরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ২৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ৩ কেজি। যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।