বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 10th, July 2025 GMT
জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে নারীসহ সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়।
তারা হলেন- খুলনার খালিশপুর উপজেলার নূর নগর বিশ্বাসপাড়ার মৃত সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রুমি আক্তার সোহাগী (২০), বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ঘুটাবাছা গ্রামের রুস্তম খানের মেয়ে মায়া বেগম (৩২),বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার পাটমারা গ্রামের বেলায়েত খান (৫৫) ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (২২), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা উপজেলার বগাইল গ্রামের মেহেবুব আলমের স্ত্রী তাসলিমা (৫০) ও তার ছেলে কুরবান আলী (২৫)।
ধানুয়া কামালপুর ইউপির সদস্য মোতালেব মিয়া বলেন, ‘ভারত থেকে সাতজনকে পুশইনের খবর পেয়েই লোকজন নিয়ে সীমান্তে যাই। ধানুয়া কামালপুর সীমান্তের ১০৮৩ নম্বর পিলারের কাছে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষকে দেখে বিজিবিকে খবর দেই। পরে বিজিবির সদস্যরা গিয়ে তাদের আটক করেন।’
পুশইন ব্যক্তিরা জানান, ২০২১ সালে করোনাকালে ভারতে যান তারা। তারা সবাই দিল্লিতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের সীমান্ত পার করে দেয় বিএসএফ।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শকের আহাম্মেদ বলেন, সাতজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ