চট্টগ্রাম নগরের একটি বাসা থেকে নারীর টুকরো টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত দেড়টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিংয়ের এফজেড টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে টুকরো টুকরো মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত নারীর নাম ফাতেমা আক্তার (২০)। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সুমন (২৫) পলাতক। তিনি পেশায় গাড়িচালক। পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে পালিয়েছেন স্বামী।

পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীরা ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা দেখেন, ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফাতেমা আক্তারের খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো.

কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমাকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ একাধিক টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ