কানের ফোড়া ফারানকুলোসিসের কারণ, চিকিৎসা ও সমাধান
Published: 23rd, July 2025 GMT
কারণ
কানের ফারানকুলোসিসের প্রধান কারণ হলো স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া, যা ত্বকের লোমকূপে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
কানের ভেতরে ছোটখাটো ক্ষত থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
কানের ভেতরে ছোটখাটো ক্ষত থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।ঝুঁকি কী
কটন বাড বা অন্য কিছু দিয়ে কান খোঁচানো বাইরের বস্তু ঢুকে যাওয়া জলে সাঁতার, অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি।
উপসর্গ
কানের বাইরের অংশ বা পিনায় তীব্র ব্যথা। আক্রান্ত স্থানে ফোলাভাব। চ্যানেল ব্লক হয়ে বন্ধ হওয়া। ফোড়া ফেটে পুঁজ নির্গত হওয়া। কানে ব্যথা এবং ফোলাভাবের কারণে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে। হালকা জ্বর হতে পারে।
আরও পড়ুনযেভাবে লেবু খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন১৭ ঘণ্টা আগেনির্ণয়
ভালো করে কান পরীক্ষা করে নির্ণয় করা হয়।
কখনো কখনো পুঁজ বা ডিসচার্জের কালচার সেনসিটিভিটি টেস্ট পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
ঝুঁকি জানতে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা ও অন্যান্য পরীক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসা
মৃদুভাবে কানের ভেতর পরিষ্কার করতে হবে।
ওষুধযুক্ত ছোট তুলা বা মেডিকেটেড উইক ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইফথামোল গ্লিসারিন সলিউশন
অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ
দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে গরম সেঁক দিলে ফোড়া ফেটে বের হতে সাহায্য করে।
বড় বা গভীর ক্ষত হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
বিশ্রাম ও ব্যথানাশক
মুখে খাবার অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন: ফ্লুক্সাসিলিন, ক্লিনডামাইসিন, সেফালেক্সিন, সাধারণত ৫-১৪ দিন সময় লাগে।
প্রতিরোধ
ব্যক্তিগত টাওয়েল, ইয়ারফোন বা অন্যান্য আইটেম শেয়ার না করা।
ডায়াবেটিস বা অন্যান্য ইমিউনো সমস্যা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
নিয়মিত কান পরিচ্ছন্ন রাখা ও পানি ঢোকা থেকে বিরত থাকা। কানে কাঠি বা কটন বাড দিয়ে খোঁচানো এড়িয়ে চলা।
অধ্যাপক ডা.
এম আলমগীর চৌধুরী, ইএনটি, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী