সচিবালয়ে ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 24th, July 2025 GMT
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ে ভাঙচুর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২৮ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বাংলাদেশ সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিদর্শক গোলাম মুক্তি মাহমুদ বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় বিভিন্ন কলেজের অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থী এবং স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতকারীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী ও ‘স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতিকারীরা’ মাইলস্টোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিতসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ‘মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ কর্মসূচি পালন করে। প্রথমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষাভবনের উদ্দেশে মার্চ করলেও পরে শিক্ষাভবন থেকে বের হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের সকল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের সচিবালয়ে প্রবেশ না করার জন্য বিভিন্নভাবে অনুরোধ করা হয়। পরে তারা বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশের বেরিকেড ভেঙে সচিবালয়ের মেইন গেইটের সামনে এসে দাঙ্গা সৃষ্টি করে। গেইট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তাদের বাধা দিলে কর্তব্যরত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন। এছাড়া, সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন, বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
ঢাকা/এমআর/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।