ছেলেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ মায়ের লাশ মিলল ডিএনএ পরীক্ষায়
Published: 24th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কুল থেকে ছেলেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মা আফসানা প্রিয়ার (৩০) লাশ পাওয়া গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আফসান ওহী (৯) অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও আফসানা প্রিয়া ওই দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিহত আফসানা প্রিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদীআশুলাই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব মৃধার স্ত্রী।
নিহত আফসানার স্বজনেরা বলেন, আফসান ওহী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার মা আফসানা প্রিয়া প্রতিদিনের মতো ছেলেকে নিয়ে গত সোমবার সকালে স্কুলে যান। শ্রেণিকক্ষে দিয়ে তিনি অভিভাবকদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলের মাঠে পড়ে। বিধ্বস্ত বিমানের আগুনে মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে আগুন লেগে যায়। এ সময় অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বাঁচাতে ছোটাছুটি করেন। একপর্যায়ে আফসান ওহীকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
নিহত আফসানার ভাশুর দুলাল মৃধা বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু তাঁর সন্ধান মেলেনি। বিকেলে খবর পাওয়ার পর লাশ আনতে তাঁরা সিএমএইচ হাসপাতালে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুনছেলেকে আনতে গিয়ে মা এখনো নিখোঁজ, ফিরে এসেছে ছেলে২২ জুলাই ২০২৫আফসানার চাচা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাতিজি আফসানার ওপরেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে তাঁর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এ জন্য লাশটি কার, তা বোঝা যায়নি।’ গত মঙ্গলবার আফসানার বাবা আব্বাস উদ্দিন ও মা মিনু বেগমকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করা হয়। লাশ শনাক্তের খবর পেয়ে আজ বিকেলে তাঁরা লাশ আনতে যান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।