রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কুল থেকে ছেলেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মা আফসানা প্রিয়ার (৩০) লাশ পাওয়া গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আফসান ওহী (৯) অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও আফসানা প্রিয়া ওই দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিহত আফসানা প্রিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদীআশুলাই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব মৃধার স্ত্রী।

নিহত আফসানার স্বজনেরা বলেন, আফসান ওহী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার মা আফসানা প্রিয়া প্রতিদিনের মতো ছেলেকে নিয়ে গত সোমবার সকালে স্কুলে যান। শ্রেণিকক্ষে দিয়ে তিনি অভিভাবকদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলের মাঠে পড়ে। বিধ্বস্ত বিমানের আগুনে মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে আগুন লেগে যায়। এ সময় অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বাঁচাতে ছোটাছুটি করেন। একপর্যায়ে আফসান ওহীকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

নিহত আফসানার ভাশুর দুলাল মৃধা বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু তাঁর সন্ধান মেলেনি। বিকেলে খবর পাওয়ার পর লাশ আনতে তাঁরা সিএমএইচ হাসপাতালে রওনা হয়েছেন।

আরও পড়ুনছেলেকে আনতে গিয়ে মা এখনো নিখোঁজ, ফিরে এসেছে ছেলে২২ জুলাই ২০২৫

আফসানার চাচা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাতিজি আফসানার ওপরেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে তাঁর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এ জন্য লাশটি কার, তা বোঝা যায়নি।’ গত মঙ্গলবার আফসানার বাবা আব্বাস উদ্দিন ও মা মিনু বেগমকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করা হয়। লাশ শনাক্তের খবর পেয়ে আজ বিকেলে তাঁরা লাশ আনতে যান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ধ বস ত আফস ন র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’

গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ