সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি
Published: 24th, July 2025 GMT
সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রী মন্দিরা দাস (১৬) নিখোঁজের ৩৬ দিন পার হলেও তার সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় তার পরিবার অপহরণ মামলা করেছে।
মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের মেয়ে বেঁচে আছে কি-না, মর্মান্তিক কিছু ঘটে গেছে কি-না তা তারা জানে না। পুলিশ বলছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা বীনেরপোতা এলাকার বাসুদেব দাসের মেয়ে স্কুল ছাত্রী মন্দিরা দাস (১৬)। স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান
নোয়াখালীর ৪ উপজেলায় প্রাথমিকে পাঠদান বন্ধ, মাধ্যমিকে পরীক্ষা স্থগিত
মন্দিরা দাসের বাবা বাসুদেব দাস বলেন, ‘‘আমার মেয়ে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে স্থানীয় রতন বসুর ছেলে দীপ্ত অপু উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি। পরে কিছু দিন উত্ত্যক্ত না করলেও গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় গেলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’’
২০ জুন সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাসুদেব দাস। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে এক পর্যায়ে ট্রাইবুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। আদালতের নির্দেশে ৪ জুলাই সদর থানা মামলা নেয়। তবে এখনো পর্যন্ত মন্দিরা দাস উদ্ধার হয়নি।
মন্দিরার মা বিশাখা রানী দাশ অভিযোগ করেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের অনেক জায়গায় ঘুরেছি কিন্তু এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। আমরা জানি না, সে আদৌ জীবিত আছে কি-না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’’
সাতক্ষীরা সদর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহিল আরিফ নিশাত বলেন, ‘‘বর্তমানে কাজের অনেক চাপ। তবুও মন্দিরা দাসের উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এখনো তেমন অগ্রগতি হয়নি।’’ তবে দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র অপহরণ মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।