সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রী মন্দিরা দাস (১৬) নিখোঁজের ৩৬ দিন পার হলেও তার সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় তার পরিবার অপহরণ মামলা করেছে। 

মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের মেয়ে বেঁচে আছে কি-না, মর্মান্তিক কিছু ঘটে গেছে কি-না তা তারা জানে না। পুলিশ বলছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা বীনেরপোতা এলাকার বাসুদেব দাসের মেয়ে স্কুল ছাত্রী মন্দিরা দাস (১৬)। স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান

নোয়াখালীর ৪ উপজেলায় প্রাথমিকে পাঠদান বন্ধ, মাধ্যমিকে পরীক্ষা স্থগিত

মন্দিরা দাসের বাবা বাসুদেব দাস বলেন, ‘‘আমার মেয়ে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে স্থানীয় রতন বসুর ছেলে দীপ্ত অপু উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি। পরে কিছু দিন উত্ত্যক্ত না করলেও গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় গেলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’’ 

২০ জুন সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাসুদেব দাস। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে এক পর্যায়ে ট্রাইবুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। আদালতের নির্দেশে ৪ জুলাই সদর থানা মামলা নেয়। তবে এখনো পর্যন্ত মন্দিরা দাস উদ্ধার হয়নি। 

মন্দিরার মা বিশাখা রানী দাশ অভিযোগ করেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের অনেক জায়গায় ঘুরেছি কিন্তু এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। আমরা জানি না, সে আদৌ জীবিত আছে কি-না।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’’ 

সাতক্ষীরা সদর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহিল আরিফ নিশাত বলেন, ‘‘বর্তমানে কাজের অনেক চাপ। তবুও মন্দিরা দাসের উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এখনো তেমন অগ্রগতি হয়নি।’’ তবে দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র অপহরণ মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ