ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা, অতিরিক্ত টাকা আদায় ও বিনা কারণে গাড়ি জব্দ না করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা।

সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মেড্ডায় অটোরিকশা মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ডাক দেয়া হয়। একই দাবিতে কয়েক দিন ধরে জেলার অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা কর্মবিরতি পালন করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘দাবি আদায়ে আমরা দুই দিন কর্মবিরতি দিয়েছিলাম। আজ সোমবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পৃথক আলোচনা হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে অবরোধ ঘোষণা করা হলো।’’ 

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি-জোয়ারে সড়ক বিচ্ছিন্ন, মানুষের দুর্ভোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চলকদের ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তি 

তিনি আরো বলেন, ‘‘এ অবরোধ শুধু সড়ক পথে পালন করা হবে। ফলে কোনো যানবাহন চলাচল করবে না।’’ 

এ সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস মিয়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুবজুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেন অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা। এই দুই দিন স্ট্যান্ডগুলো থেকে কোনো অটোরিকশা ছেড়ে যায়নি। 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ব র হ মণব ড় য় অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ