কাশ্মীরে সেনা অভিযানে নিহতরাই পেহেলগামকাণ্ডের হামলাকারী বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ মঙ্গলবার লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনার শুরুতেই এই দাবি করে তিনি বলেন, গত সোমবারের অভিযানে নিহত তিনজনই পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

গত সোমবারের ওই অভিযানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মহাদেব’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, নিহতদের ঘাঁটি থেকে পেহেলগামে ব্যবহৃত অস্ত্র পাওয়া গেছে। নিহতদের পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা গেছে, ওই তিন জঙ্গি পেহেলগামের হামলাকারী।

গত সোমবার ওই তিন জঙ্গি সরকারি ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান। তিনজনের নামও অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—সুলেমান, জিবরান ও আফগান।

অমিত শাহ দাবি করেন, পারভেজ নামে যে ব্যক্তি ওই তিন জঙ্গিকে খাদ্য দিয়েছিলেন, তাঁকে আগেই আটক করা হয়েছিল। তিনি ও অন্যরা ওই তিনজনকে শনাক্ত করেছেন। জঙ্গিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের নির্দিষ্ট পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাঁরা পাকিস্তান থেকেই এসেছিলেন।

অমিত শাহ বলেন, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার সময় যে চকলেট তাঁরা খেতেন, তার মোড়ক দেখেও বোঝা গেছে, সেসব পাকিস্তানে তৈরি। জঙ্গিদের ডেরা থেকে পাওয়া ভোটার কার্ডও তাঁদের নাগরিকত্বের পরিচয় দিচ্ছে।

অমিত শাহর দাবি, নিহত জঙ্গি সুলেমান ওরফে হাসিম মুসাই পেহেলগামকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’।

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামের বৈসরণ রিসোর্টে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৫ ভারতীয় ও ১ জন নেপালি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। সবাই ছিলেন পর্যটক। সেই হামলার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। সেই থেকে প্রায় ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও এত দিন হামলাকারীদের কোনো খোঁজ মেলেনি। দেশের বিরোধীরা বারবার গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতার সমালোচনা করে চলেছেন এত দিন ধরে।

কাকতালীয়ভাবে হামলাকারীদের নিহত হওয়ার দাবি অমিত শাহ সেই দিনই করলেন, যেদিন লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

পেহেলগামে হামলাকারী তিনজনই পাকিস্তানের নাগরিক বলে আবার দাবি করলেন অমিত শাহ

কাশ্মীরে সেনা অভিযানে নিহতরাই পেহেলগামকাণ্ডের হামলাকারী বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ মঙ্গলবার লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনার শুরুতেই এই দাবি করে তিনি বলেন, গত সোমবারের অভিযানে নিহত তিনজনই পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

গত সোমবারের ওই অভিযানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মহাদেব’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, নিহতদের ঘাঁটি থেকে পেহেলগামে ব্যবহৃত অস্ত্র পাওয়া গেছে। নিহতদের পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা গেছে, ওই তিন জঙ্গি পেহেলগামের হামলাকারী।

গত সোমবার ওই তিন জঙ্গি সরকারি ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান। তিনজনের নামও অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—সুলেমান, জিবরান ও আফগান।

অমিত শাহ দাবি করেন, পারভেজ নামে যে ব্যক্তি ওই তিন জঙ্গিকে খাদ্য দিয়েছিলেন, তাঁকে আগেই আটক করা হয়েছিল। তিনি ও অন্যরা ওই তিনজনকে শনাক্ত করেছেন। জঙ্গিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের নির্দিষ্ট পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাঁরা পাকিস্তান থেকেই এসেছিলেন।

অমিত শাহ বলেন, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার সময় যে চকলেট তাঁরা খেতেন, তার মোড়ক দেখেও বোঝা গেছে, সেসব পাকিস্তানে তৈরি। জঙ্গিদের ডেরা থেকে পাওয়া ভোটার কার্ডও তাঁদের নাগরিকত্বের পরিচয় দিচ্ছে।

অমিত শাহর দাবি, নিহত জঙ্গি সুলেমান ওরফে হাসিম মুসাই পেহেলগামকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’।

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামের বৈসরণ রিসোর্টে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৫ ভারতীয় ও ১ জন নেপালি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। সবাই ছিলেন পর্যটক। সেই হামলার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। সেই থেকে প্রায় ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও এত দিন হামলাকারীদের কোনো খোঁজ মেলেনি। দেশের বিরোধীরা বারবার গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতার সমালোচনা করে চলেছেন এত দিন ধরে।

কাকতালীয়ভাবে হামলাকারীদের নিহত হওয়ার দাবি অমিত শাহ সেই দিনই করলেন, যেদিন লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ