নিউ ইয়র্কের মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে রাইফেল দিয়ে চারজনকে হত্যাকারী ব্যক্তি একটি চিরকুট বহন করছিলেন। ওই চিরকুটে তার মস্তিষ্কের অবক্ষয়জনিত রোগের জন্য জাতীয় ফুটবল লীগকে দায়ী করা হয়েছে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শেন তামুরা নামের ২৭ বছর বয়সী ওই হামলকারী লাস ভেগাসের বাসিন্দা। তার মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার শেন তামুরার বন্দুকধারীর গুলিতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ৬৩৪ ফুট উঁচু একটি আকাশচুম্বী ভবনে জাতীয় ফুটবল লীগ এবং বিনিয়োগ সংস্থা ব্ল্যাকস্টোনের কর্পোরেট অফিস রয়েছে। পরে ওই ভবনের ৩৩তম তলায় নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন শেন।

মেয়র জানান, তামুরা স্পষ্টতই ভুল লিফটে  প্রবেশ করে এবং একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রুডিন ম্যানেজমেন্টের অফিসে গিয়ে কর্মচারীদের গুলি করে।

অ্যাডামস সিবিএস নিউজকে বলেন, “নোটটিতে ইঙ্গিত করা হয়েছিল, তামুরা অনুভব করেছিলেন যে তার সিটিই (ক্রনিক ট্রমাটিক এনসেফালোপ্যাথি) আছে, যা কন্টাক্ট স্পোর্টসে অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি পরিচিত মস্তিষ্কের আঘাত। তিনি তার আঘাতের জন্য এনএফএলকে দায়ী করেছেন বলে মনে হচ্ছে।”

দীর্ঘস্থায়ী আঘাতমূলক এনসেফালোপ্যাথি একটি গুরুতর মস্তিষ্কের রোগ যার কোনও চিকিৎসা নেই। খেলাধুলার সময় মাথায় বারবার আঘাতের কারণে এটি হতে পারে। এটি আগ্রাসন এবং ডিমেনশিয়ার সাথে যুক্ত।

রয়টার্স জানিয়েছে, তামুরা কখনো এনএফএলের খেলোয়াড় ছিলেন না। তবে অনলাইন রেকর্ড দেখা গেছে, তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলেছিলেন। তার মানিব্যাগে পাওয়া নোটে বলা হয়েছে যে তার মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে তার ফুটবল ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম বদল

এবার একযোগে ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার ৯ ফেব্রুয়ারির জারি করা চিঠির নির্দেশনার আলোকে ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হলো।

নাম পরিবর্তন হওয়া কলেজগুলো হলো

বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনার সরকারি জয়বাংলা কলেজ, কিশোরগঞ্জের জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ।

নাম পরিবর্তন হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনা হলো

বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, বরগুনা সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ঢাকা কলেজের শেখ কামাল হল ও লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শেখ রাসেল ছাত্রাবাস, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ লুৎফর রহমান একাডেমিক ভবন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন, শেখ কামাল প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, শেখ কামাল ছাত্রাবাস, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, নরসিংদী সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হোস্টেল, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাস, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, বৃন্দাবন সরকারি কলেজে দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও শেখ ওয়াজেদ বিজ্ঞান ভবন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক কাম-এক্সামিনেশন হল, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শেখ কামাল ছাত্রাবাস, শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রনিবাস, দিনাজপুর সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের শেখ রাসেল ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি বাঙলা কলেজের নবনির্মিত ভবন। এ ছাড়া যেসব সরকারি কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে তার নাম হবে আইসিটি ল্যাব।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২৮ মে-এর প্রজ্ঞাপনে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত সরকারি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নামও রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম দেওয়া হয় ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম বদলের প্রতিবাদ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজসহ অনেকে। সমালোচনার মুখে পরে ১ জুলাই কলেজটির নাম বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

তালিকা দেখুন এখানে

আরও পড়ুনকমনওয়েলথ ফেলোশিপে আবেদনের সুযোগ, মাসে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সঙ্গে নানা সুবিধা৭ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ