৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 30th, July 2025 GMT
আগামী ৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে ইস্যু করা চিঠিতে ২৯ জুলাই হতে ৮ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ১১ দিনের বিশেষ অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “এটা পুরো বাংলাদেশের নয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অভিযান। এটা সম্পর্কে ডিএমপি বিস্তারিত বলতে পারবে।”
আরো পড়ুন:
সহিংসতা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, “এই যে সংবাদ খোঁজার প্রয়োজনে আপনারা আমাকে ধরেছেন, একইভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয় বা অভিযান পরিচালনা করা হয়।”
গঙ্গাচড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
অন-অ্যারাইভাল ভিসা বাতিল হচ্ছে না জানিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যেসব দেশের সাথে আমাদের অন-অ্যারাইভাল ভিসার চুক্তি রয়েছে, আমরা তাদেরকে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছি। যাদের সাথে চুক্তি নেই, তাদেরকে আমরা অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিব না।”
‘মালয়েশিয়ার একটা টিম আমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিল। তারা পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের সঙ্গে একটা কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবে,’ বলেও জানান উপদেষ্টা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা মেডিকেল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মহিলা ওয়ার্ড থেকে সজীব দাস পার্থ (২১) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাতে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি কুলসুম বেগম (৫৪) নামের এক নারী রোগীকে হুইলচেয়ার থেকে জোর করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এতে রোগী পড়ে যান। তা দেখে ওয়ার্ডের লোকজন ও আনসার সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে পালানোর চেষ্টাকালে ধরে ফেলেন। পরে তাকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ড থেকে রোগীর স্বজন ও আনসার সদস্যরা ভুয়া চিকিৎসক সজীব দাস পার্থ এবং তার এক সহযোগী মানিক মিয়াকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।”
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সজীব দাস নিজেকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বিলবাড়ি পেড়কুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং রানেশ চন্দ্র দাসের ছেলে বলে পরিচয় দেয়। দাবি করে, পাবনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে।
পরিদর্শক ফারুক আরো বলেন, “তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/বুলবুল/ইভা