পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
Published: 31st, July 2025 GMT
শোবিজ অঙ্গনের অনেক অভিনেত্রী প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। লিপ জব, নোস জব কিংবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সার্জারিও করিয়ে থাকেন। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষের মত—এ ধরনের অস্ত্রোপচার না করালে নায়িকা হিসেবে কাজ পাওয়া সমস্যা হয়। এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
কয়েক দিন আগে ‘স্টেট আপ উইথ শ্রী’ পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন শোলাঙ্কি রায়। এ আলাপচারিতায় এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি কারো নাম নেব না। কিন্তু আমাকে অনেকে বলেছেন, ‘তোমার মুখ টিভির তুলনায় সিনেমায় দেখতে বেশি খারাপ লাগে।’ আসলে আমার মুখে তো কোনো ইনজেকশন দেওয়া হয়নি।”
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শোলাঙ্কি রায় বলেন, “একবার এক অনুষ্ঠানে এক পরিচালক আমাকে ‘ব্রেস্ট সার্জারি’ করাতে বলেছিলেন। ‘নায়িকা হতে গেলে একটু খাঁজ থাকা দরকার’—এই ভাষায় কথাটি তিনি আমাকে বলেছিলেন। এটা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রভাবিত হইনি। আমি যেহেতু যথেষ্ট ম্যাচিউর ছিলাম, তাই সেই কথাটা পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। কিন্তু যে মেয়েটি নতুন এসেছে, যার বয়স অল্প, এখনো এতটা ম্যাচিউরিটি আসেনি তার উপর তো এর প্রভাব পড়বেই।”
আরো পড়ুন:
বরাবর নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে: জয়া
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য শোলাঙ্কির উপরে প্রভাব ফেলেছি। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এমনিতে স্যোশাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ বলা হয়, এটা করো ওটা করো। তারপর যদি সামনে এসে কেউ বলে তাহলে সেটা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে, খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। এটা অনেকদিন আমাদের মাথায় থেকে যায়। আর মেয়েদের এটা বেশি শুনতে হয়। আমি যখন এটা শুনেছিলাম আমার স্বাভাবিকভাবেই খুব খারাপ লেগেছিল। তবে সেই মুহূর্তে আমি সেই পরিচালককে বলেছিলাম, ‘এটা আমি বুঝে নেব’। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তো নিশ্চয়ই প্রভাব ফেলেছিল, না হলে এখনো এটা নিয়ে কথা বলতাম না।”
রোগা বলেও নানা কথা শুনতে হয় শোলাঙ্কিকে। এ কারণে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিলেন। শোলাঙ্কি রায় বলেন, “আমি মাঝখানে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ দেখা হলেই ওখানে অনেকে জিজ্ঞাসা করতেন, আমি কেন এতটা রোগা হয়েছি। আমি তো সারা জীবনই রোগা ছিলাম। ফলে আমাকে দেখে অবাক হওয়ার মতো তো কিছু হয়নি।”
টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে অভিনয়ে পা রাখের শোলাঙ্কি রায়। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও অভিষেক হয়েছে তার। ২০২২ সালে ‘বাবা বেবি’-এর মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয়। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেন যীশু সেনগুপ্ত।
নাম লিখিয়েছেন ওয়েব সিরিজেও। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ওয়েব সিরিজ ‘পাপ’, ‘মন্টু পাইলট’। ‘মন্টু পাইলট’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে শোলাঙ্কির পরিবর্তে অভিনয় করেন বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা। শোলাঙ্কি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘বিষহরি’। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় এটি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত