নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে চিনিকলে ডাকাতি, ট্রাক ভরে নিয়ে গেল মাল
Published: 3rd, August 2025 GMT
নাটোর চিনিকলে নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে কারখানার মালামাল ট্রাকে ভরে নিয়ে গেছে একদল ডাকাত। আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তা জানাতে পারেনি চিনিকল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ।
নাটোর থানা ও চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে একটি মিনিট্রাকে করে একদল ডাকাত চিনিকলে ঢোকে। তারা নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে কারখানার ভেতরে ঢোকে এবং মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা চিনিকলের কারখানায় ডাকাতি করেছে। এ সময় আনসারসহ চিনিকলের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। মালামালের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশও কাজ করছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ মাঠে আছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ধারণের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, বাকিদেরও করা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ন কল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।
আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’
আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’
এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।