গাজীপুরের শ্রীপুরে চটের বিছানায় ঘুমানো নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে জুয়েল (২৫) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত জুয়েল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

কবুতর চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ২

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চটের বিছানায় ঘুমানোকে কেন্দ্র করে জুয়েলের সঙ্গে রাকিব ও তার ভগ্নিপতি রবিনের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রবিন জুয়েলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েলকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি মো.

আব্দুল বারিক জানান, ধস্তাধস্তির সময় রাকিবের হাতে থাকা ছুরি জুয়েলের বুকে লাগে। এসময় রবিনের হাতও কেটে যায়। আটক দুইজনের বিরুদ্ধেই শ্রীপুর থানায় পূর্বে চুরির মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘হামলাকারী’ শ্রমিক লীগ নেতা নাছির গ্রেপ্তার

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকার একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭-৮ জনের একটি দল তাকে আটক করে। রাতেই তাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। 

এদিকে, নাছিরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত কয়েকজন নাছিরকে গাড়ির ভেতর বসিয়ে চড়-থাপ্পড় মারছেন। ফরিদপুরে এই ভিডিও এখন ফেসবুকে ট্রেন্ডিং, একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট ও শেয়ার হচ্ছে এটি।

ফরিদপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাজনীন আক্তার জানান, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় (জিআর নং ৬০৭/২৪) নাছিরকে আটক দেখানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নাছিরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ আগস্টের পর দায়ের করা একাধিক মামলা রয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/তামিম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ