ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা করে চাকরির খোঁজে বিভিন্ন অফিস ঘুরেছেন মো. শিমুল (২৯)। কিন্তু চাকরি মেলেনি। বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে হাঁসের খামার করেন। এখানেও লোকসান। তবে ভেঙে পড়েননি শিমুল। মাত্র ১৪ হাজার টাকা পুঁজিতে শুরু করেন কালো পোকার (ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই) চাষ। এতে ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। মাত্র পাঁচ বছরে তিনি স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

তরুণ এই উদ্যোক্তার বাড়ি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার পারসিধাই গ্রামে। বর্তমানে তিনি পাঁচটি পোকার খামার গড়ে তুলেছেন। এই পোকা মূলত হাঁস, মুরগি ও মাছের খাবার। পাশাপাশি তিনি হাঁস, মুরগি ও মাছের খামার করেছেন। মাসে আয় করছেন প্রায় তিন লাখ টাকা।

পোকা চাষ করায় স্থানীয় লোকজন আমাকে পাগল ভাবত। কিন্তু এই পোকাই আমার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। বর্তমানে আমি ভারত, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানে পোকা রপ্তানি করছি।মো.

শিমুল, উদ্যোক্তা

শুরুটা ২০১৮ সালে। চাকরির খোঁজে ঢাকা ঘুরে বাড়িতে ফেরেন শিমুল। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। উদ্যোক্তা হওয়ার ঝোঁক থেকে প্রথমে একটি হাঁসের খামার করেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার হাঁসের খামারটিতে দুই বছরে ২৭ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয় তাঁকে। ঋণের জালে আটকা পড়লেও দমে যাননি শিমুল। ইউটিউবে ভিডিও দেখে কালো পোকা চাষে আগ্রহ হয়। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। বাজারব্যবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পর ২০২০ সালে মাত্র ১৪ হাজার টাকা পুঁজিতে কালো পোকার চাষ শুরু করেন তিনি।

মো. শিমুল জানান, কালো পোকা মূলত হাঁস, মুরগি ও মাছের খাবার। প্রচলিত ফিডের তুলনায় এর পুষ্টিমান বেশি। উৎপাদন খরচও কম। তা ছাড়া কালো পোকা ও মাদার পোকা চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। বর্তমানে তিনি কালো পোকা ও মাদার পোকা রপ্তানি করছেন। নিজ গ্রাম ছাড়াও ঈশ্বরদী উপজেলার রাজাপুর ও দাশুড়িয়ায় তাঁর পাঁচটি পোকার খামার আছে। পাশাপাশি হাঁস, মুরগি ও মাছের খামার করেছেন। নিজের খামারের কালো পোকা দিয়েই এসব খামারের খাদ্যের চাহিদা মিটছে।

পোকা চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করছেন মো. শিমুল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র খ ম র কর করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম আলোর ক্রোড়পত্র নকশার জন্য মিথিলার প্রথম ফটোশুটের ৬টি ছবি

ছবি: কবির হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ