জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: জিএম কাদের
Published: 15th, August 2025 GMT
সব বিভেদ ভুলে দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে জিএম কাদের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা জানান। এ উপলক্ষে দেশবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও সংহতি কামনা করেন তিনি।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সব ধর্মই সাম্য, মানবতা, ভ্রাতৃত্ব আর ভালোবাসার কথা বলে। জন্মাষ্টমীর এই শুভ লগ্নে জাতীয় স্বার্থে সবার ঐক্য কামনা করছি। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “সব বিভেদ ভুলে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।”
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, “পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময়ে ১৯৮৯ সাল থেকেই ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন ও জাকজমকপূর্ণ জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর জন্মাষ্টমীতে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব ও আরাধনা নির্বিঘ্ন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব সহায়তার নির্দেশ দেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।”
“এছাড়া নগদ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পাশাপাশি পূজা-অর্চনা এবং সারা দেশে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য প্রতি বছর অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।”
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত সব আয়োজনের সফলতা কামনা করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী