দুদকের উপপরিচালক পলাশ সাময়িক বরখাস্ত
Published: 19th, August 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আবাসন প্রকল্পকে পরিকল্পনা পাসে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
৬ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আহসানুল কবীর পলাশকে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড–সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি এবং সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদনও জানাননি।
এ ঘটনায় কমিশনের কর্মচারী বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে গত ১৬ জুলাই কমিশনের সভায় বিধি ৪৩(১) মোতাবেক তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বরখাস্তের সময় তিনি বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন। এ আদেশ ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’