দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আবাসন প্রকল্পকে পরিকল্পনা পাসে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

৬ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আহসানুল কবীর পলাশকে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড–সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি এবং সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদনও জানাননি।

এ ঘটনায় কমিশনের কর্মচারী বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে গত ১৬ জুলাই কমিশনের সভায় বিধি ৪৩(১) মোতাবেক তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বরখাস্তের সময় তিনি বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন। এ আদেশ ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান