মা হয়ে বটগাছের মতন ছায়া দিয়েছি, কন্যাকে নিয়ে স্বস্তিকা
Published: 9th, October 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। তার একমাত্র কন্যা অন্বেষা এখন আর ছোট নেই। এরই মধ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন। এবার ভালো একটি চাকরি পেয়েছেন বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া দীর্ঘ একটি পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
লেখার শুরুতে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “কত ছোট তখন আমরা মা-মেয়ে দুজনেই। আমি কাজের সূত্রে যেখানেই যেতাম, ছানার স্কুল ছুটি থাকলে সেও মায়ের সঙ্গে ড্যাং ড্যাং করতে রাজি। আমার ঠিক মনে পড়ে না, মানি একটু বড় হওয়ার পর আমি ওকে ছাড়া তেমন একটা কোথাও গেছি বলে মনে হয় না। মানির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল ইংল্যান্ড। এত জায়গায় গেছে বেড়াতে কিন্তু উকে গেলেই বলত, মা এখানে আমি একদিন পড়াশোনা করতে আসব। তারপর চাকরি করব, তুমি এখানে এসে আমার কাছে থাকবে। তুমি তো তখন বুড়ি হয়ে যাবে, একা একা তো থাকতে পারবে না।”
আরো পড়ুন:
‘আমরা তখনই বিজয়ী হব, যখন এই লজ্জা বহন করা বন্ধ করব’
‘বৌদি’ শব্দটাকে এখন কুরুচিকর ইঙ্গিতে ব্যবহার করা হয়: স্বস্তিকা
কন্যাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা স্মরণ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “আমাদের দুজনেরই মিউজিয়াম, ইউনিভার্সিটি, কলেজ এসব ঘুরে দেখার শখ। টুরিস্টরা বেড়াতে গেলে বেশিরভাগ সময়ে সাইট সিইং, খাওয়া-দাওয়া, কেনাকাটা এসবকে গুরুত্ব দেয়। আমরা দুজন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে গপ্প করে, ওরা কোথায় ঘুরতে যায় ওদের দেশে সেগুলো খুঁজে বের করে সেখানে গেছি। বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষায় থাকা লোকালদের জিজ্ঞেস করে, এমন সব জায়গা আবিষ্কার করেছি ভাবার বাইরে। একটা গোটাদিন কলেজ পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছি আর নিজেকে বলেছি, দেশে ফিরে আরো অনেক মন দিয়ে কাজ করতে হবে, সন্তানের যেখানে পড়বার ইচ্ছে সেটা যেন মা হয়ে পূরণ করতে পারি।”
স্বস্তিকার কন্যা চাকরি পেয়েছে, তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “মানি সাইকোলজিতে এম.
কন্যার সাফল্যে আনন্দিত স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “সন্তানেরা যা হওয়ার স্বপ্ন দেখে তার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যেতে দেখাতেই সর্ব সুখ। আমার মেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে আমায় ধন্যবাদ দিতে এলেই বলি, সব তুমি করেছো মা আমার, বিদেশ বিভূইয়ে একা থেকেছ, প্রচুর পরীক্ষা দিয়েছ, অনেক খেটেছ, সবটা তোমার প্রাপ্য, মা হয়ে আমি পেছনে বটগাছের মতন ছায়া দিয়েছি খালি, ওটাই আমার কাজ, আর কিছু করিনি। সন্তানদের স্বপ্নপূরণ হোক, ওদের জীবনে আলো থাক, আতশবাজি থাক, মায়েরা আশ্রয় হয়ে থাক, বটগাছের মতন।”
১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। এ দম্পতির কন্যা অন্বেষা। বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়েটি করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে। দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা; মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বস ত ক ম খ র জ স বস ত ক র মতন
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ওপেনএআই ডেভডেতে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ওয়ানব্রেন এআই
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই আয়োজিত ‘ওপেনএআই ডেভডে ২০২৫’-এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের স্টার্টআপ (উদ্ভাবনী উদ্যোগ) ওয়ানব্রেন এআই। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ডেভেলপার দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ওয়ানব্রেন এআইয়ের কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ানব্রেন এআই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওপেনএআই ডেভডেতে এবারই প্রথম বাংলাদেশ থেকে কোনো স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানে ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী মডেল জিপিটি-৫ প্রো, যুগান্তকারী ভিডিও মডেল সোরা-২ এবং সর্বাধুনিক ইমেজ জেনারেশনপ্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। নতুন এসব প্রযুক্তি দেশের সৃজনশীল ও পেশাদার কাজে বিপুল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে।
ওয়ানব্রেন এআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা অমিত দাস বলেন, ‘ওপেনএআই ডেভডে ২০২৫-এ অংশগ্রহণ এবং স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমাদের জন্য বিশাল অভিজ্ঞতা। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে উন্নত সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।’