গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন সামান্থা
Published: 1st, December 2025 GMT
ফের বিয়ে করেছেন ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। তার বর অন্য কেউ নেন, পরিচালক প্রেমিক রাজ নিদিমোরু। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে গোপনে বিয়ে করেন তারা। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় তৈরি হয় ধোঁয়াশা। এবার সব সংশয় উড়িয়ে বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন এই তারকা অভিনেত্রী।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সামান্থা তার ইনস্টাগ্রামে একগুচ্ছ বিয়ের ছবি পোস্ট করেন। একটি ছবিতে দেখা যায়, লাল টুকটুকে শাড়িতে সেজেছেন সামান্থা। পাজামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে কটি পরেছেন রাজ। পরিচালকের হাত ধরে হাস্যোজ্জ্বল মুখে মন্দির থেকে বের হচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
সেই প্রেমিককে বিয়ে করলেন সামান্থা?
খাবার জোগাতেও আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে: সামান্থা
অন্য একটি ছবিতে সামান্থার হাতে আংটি পরাতে দেখা যায় রাজকে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, রাজকে জড়িয়ে ধরে আছেন সামান্থা। তার দুটো হাত মেহেদির রঙে রাঙানো। তার বাঁ হাতে বাগদানের আংটি, ডান হাতের আলাদা দুই আঙুলে সোনার আংটি শোভা পাচ্ছে। এসব ছবির ক্যাপশনে সামান্থা লেখেন—“০১.
এরপর থেকে নেটিজেনদের পাশাপাশি সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই যুগল। অভিনেত্রী হংসিকা লেখেন, “অভিনন্দন।” অনেক তারকাই তাদের অভিবাদন জানিয়েছেন। মাত্র ১৩ মিনিটে এই পোস্টে রিঅ্যাক্ট পড়েছে ৪ লাখের বেশি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে এর আগে একটি সূত্র বলেন, “সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও রাজ। ইশা যোগা সেন্টারের ভেতরে লিং ভৈরবী মন্দিরে আজ ভোরবেলায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন তারা।”
খানিকটা বিস্তারিত জানিয়ে সূত্রটি বলেন, “আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, অনুষ্ঠানে মোট ৩০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। বিয়েতে লাল রঙের শাড়ি পরেছিলেন সামান্থা।”
রবিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গুঞ্জন চাউর হয়, সামান্থা-রাজ জুটি সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। রাজের সাবেক স্ত্রী শ্যামালী দে তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি রহস্যময় উক্তি পোস্ট করেন। তাতে তিনি লিখেন, “হতাশ মানুষ হতাশাজনক কাজই করে।” তার এই পোস্ট রাজ-সামান্থার বিয়ের গুঞ্জন আরো বাড়িয়ে দেয়।
নাগা চৈতন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা। ২০২১ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। সামান্থার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য; পরে তারা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তবে দীর্ঘদিন একা ছিলেন সামান্থা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে।
এর আগে টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে জানায়, পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু। এ পরিচালক সামান্থাকে ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক ঘটিয়েছেন। সামান্থার অভিষেক ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যামিলি ম্যান টু’-এর নির্মাতা রাজ। এরপর ‘সিটাডেল: হানি বানি’-তে একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা। মূলত, একসঙ্গে টানা কাজ করতে গিয়েই তাদের সম্পর্কের সূচনা।
২০১৫ সালে শ্যামলী ডির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজ। ফলে খবর ছড়ায়, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন সামান্থা। তবে রাজ-শ্যামলীর ঘনিষ্ঠজন এনডিটিভিকে বলেন, “২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে রাজ-শ্যামলীর।”
এর আগে ডেকান ক্রনিকল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ নিদিমোরু চলতি বছরের শেষের দিকে তারা তাদের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো। তা কেবল বিয়ে করতে যাওয়ার ঘোষণা নয়, একেবারে বিয়ের খবর দিলেন সামান্থা।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ আদায়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, ব্যর্থ হয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় নোয়াখালী আমির হোসেনের (২৫)। ঢাকায় আসেন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। একপর্যায়ে কৌশলে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। মুক্তিপণ চাওয়া হয় পরিবারের কাছে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয় আমিরকে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ফেসবুক বন্ধুসহ দুজনকে মৃতুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক ওরফে তারেক আহম্মেদ ও হৃদয় আলী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাসেল সরদারকে। একই সঙ্গে তিনজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এ রায় দেন। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে এই তিন আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। অপর আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার আশকোনা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন আমির হোসেন। এরপর কয়েক মাস বিভিন্ন স্থানে তাঁর পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পায়নি। পরের বছরের ১৩ এপ্রিল তাঁর বড় ভাই বেল্লাল হোসেন দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আমির হোসেনের বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী আমিরের সঙ্গে তারেকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। ২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী উত্তরায় আসার কথা তারেককে জানান। বিকেলের দিকে তারেক গাজীপুরের চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা করেন এবং সন্ধ্যায় খাওয়াদাওয়া করেন। খাওয়া শেষে কোমল পানীয়র সঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ মেশান। রিকশায় করে বাসায় যেতে যেতে সেটা ভুক্তভোগীকে খাওয়ান। আমির বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুই থেকে তিন দিনেও তাঁর ঘুম না ভাঙায় এ সুযোগে তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার কৌশল নেন তারেক। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবার টাকা না দেওয়ায় ৫০ কেজি ওজনের আটার বস্তার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আমিরকে হত্যা করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, তারেক একটি সমকামী গ্রুপের সদস্য বলে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাসেল সরদার জানান। তাঁরা দীর্ঘদিন কৌশলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেদের এনে মুক্তিপণ দাবি করতেন।