চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি নেতা রফিকুলের এক বছরের কারাদণ্ড
Published: 21st, October 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক প্রত্যাখ্যান (ডিজঅনার) মামলায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) আ বা মো. নাহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রফিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
পরে এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি মিথ্যা মামলা ছিল। আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে পাওয়া যায়, মামলার বাদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাম্মাদ আলী। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। রফিকুল ইসলাম ব্যবসায়িক প্রয়োজনের কথা বলে বাদীর কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য ৪০ লাখ টাকা ধার নেন। তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। বাদী জোর তাগাদা দিতে থাকেন। একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম ১০ লাখ টাকা করে প্রাইম ব্যাংকের চারটি চেক দেন। চেকগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় জমা করলে উল্লেখিত হিসাবে (অ্যাকাউন্টে) সেই পরিমাণ টাকা না থাকায় সেগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়।
বাদীর আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘১২ বছরেরও বেশি সময় পর আদালত মামলার রায় দিয়েছেন। রফিকুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডÐও চেকে উল্লেখিত ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
এ ব্যাপার পুলিশ সুপার রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, রফিকুল ইসলাম এখন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টের আওতাভুক্ত। আদালত থেকে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিশ্রুতির চাইতে অনেক কম ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসরায়েল সেই পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে না। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস টেলিগ্রামে পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে মাত্র ৯৮৬টি ত্রাণ ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ছয় হাজার ৬০০ ট্রাক পৌঁছানোর কথা ছিল।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মানবিক কনভয়গুলোতে ১৪ টি রান্নার গ্যাস ভর্তি ট্রাক এবং ২৮টি ট্রাকে বেকারি, জেনারেটর, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত পরিচালনার জন্য নির্ধারিত সরঞ্জাম ছিল। কারণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার ফলে জনসংখ্যার দৈনন্দিন জীবনের জন্য সরাসরি নির্ভরশীল এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলির তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
মিডিয়া অফিস বলেছে, “আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন গাজা উপত্যকায় প্রবেশকারী ট্রাকের গড় সংখ্যা (৬০০) ট্রাকের মধ্যে (৮৯)টির বেশি নয়, যা গাজার ২৪ লাখেরও বেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের পরিচালিত শ্বাসরোধ, অনাহার এবং মানবিক ব্ল্যাকমেইলের অব্যাহত নীতি প্রতিফলিত করে।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ খুব কমই সাহায্য পেয়েছে। যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল ত্রাণের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে গাজার বিশাল অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে গাজায় মানবিক সাহায্য বৃদ্ধির বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘অত্যন্ত জরুরি’ বিষয় হিসেবে গাজায় ত্রাণ রুটগুলো পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের ইউরোপীয়, আরব এবং মার্কিন অংশীদারদের সাথে অবিলম্বে মানবিক স্থান এবং রুটগুলো পুনরায় চালু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই -এবং এটি অত্যন্ত জরুরি - যাতে জনগণের কাছে সাহায্য, খাদ্য এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া যায়।”
ঢাকা/শাহেদ